প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের জেরে প্রবল ভাবে ধাক্কা খেয়েছে বিমান শিল্প। এই পরিস্থিতির প্রথম শিকার এয়ার ডেকান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে দেশে যাত্রী বিমান চলাচল বন্ধ করেছে কেন্দ্র। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছে সমস্ত উড়ান সংস্থাই। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে বিমান পরিবহণ শিল্প কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। আর এই আশঙ্কাকে সত্যি করে পাততাড়ি গুটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল ডেকান।
সংবাদ সংস্থার খবর, গুজরাতকে কেন্দ্র করে চারটি ১৮ আসনের বিচক্র্যাফ্ট বিমান নিয়ে ছোট ছোট শহরে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছিল এয়ার ডেকান। কেন্দ্রের আঞ্চলিক উড়ান পরিষেবায় তারা অনেক দিন আগেই এই যাত্রী পরিবহণ শুরু করে। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশে গত ২৪ মার্চ থেকে তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
রবিবার সংস্থার সিইও অরুণ সিংহ কর্মীদের ই-মেল পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সংস্থা। সমস্ত কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা বেতনও পাবেন না। তবে সংস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে অল্প সংখ্যক উচ্চপদস্থ কর্তা থাকবেন। আগামী সপ্তাহে বৈঠক করবেন তাঁরা। পরে যদি সংস্থা ফের পরিষেবা শুরু করে, তা হলে পুরনো কর্মীদের ফেরানো হবে।
এই মুহূর্তে দেশে শুধু পণ্য বিমান চলাচল করছে। তা-ও মূলত চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম নিয়ে। এই পরিষেবা দিতে এগিয়ে এসেছে এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বেশ কিছু উড়ান সংস্থা। কিন্তু এয়ার ডেকানের মতো যারা ছোট বিমান চালায়, তাদের সেই সুবিধাও নেই। ফলে এই বাজারে বিমান বসিয়ে রেখে তার যেমন ভাড়া গুনতে হচ্ছে, তেমনই বেতনও দিতে হচ্ছে কর্মীদের। ফলে টান পড়ছে নগদে। ভারতের বিভিন্ন উড়ান সংস্থা কর্মীদের সংখ্যা ও বেতন কমিয়ে, অন্য খরচ ছেঁটে, একাংশকে বেতনহীন ছুটিতে পাঠিয়ে টিকে থাকার আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছে।
একই কারণে আন্তর্জাতিক দুনিয়াতেও ছোট এবং সস্তার উড়ান সংস্থাগুলিও একের পর এক বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপের এক বিমান সংস্থা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে পরিষেবা বন্ধ করেছে।