Coronavirus

নিভৃতবাসের ঠাঁই হয়ে ক্ষতি ভরার আশা

এইচআরএইআইয়ের সেক্রেটারি সুদেশ পোদ্দার জানান, কারও করোনা লক্ষণ দেখা দিলে বা কেউ করোনা-আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে তাঁদের নিভৃতবাসে রাখতে কোনও হোটেল ঘর দিতে রাজি কি না, তা রাজ্য জানতে চেয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০৩:০১
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনার থাবায় বেহাল ক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হোটেল ব্যবসা। বেড়ানো বা কর্মসূত্রে কেজো সফর বন্ধ থাকায় হোটেলের ঘর খালিই পড়ে থাকছে। ফলে কর্মসংস্থানে বিপুল কোপ পড়ার আশঙ্কা। এই অবস্থায় কিছু হোটেলকে ব্যবসার ক্ষতি অন্তত খানিকটা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে সেই করোনাই। হোটেল অ্যান্ড রেস্টোর‌্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (এইচআরএইআই) সূত্রের খবর, সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ দিনের নিভৃতবাসের বন্দোবস্ত করতে সরকারি কেন্দ্রের পাশাপাশি হোটেলের ঘরের খোঁজও করেছিল রাজ্য। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ৮০টিরও বেশি হোটেল এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫০০ ঘর এ জন্য নির্দিষ্ট করেছে। থাকার খরচ অবশ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই বহন করতে হচ্ছে।

Advertisement

এইচআরএইআইয়ের সেক্রেটারি সুদেশ পোদ্দার জানান, কারও করোনা লক্ষণ দেখা দিলে বা কেউ করোনা-আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে তাঁদের নিভৃতবাসে রাখতে কোনও হোটেল ঘর দিতে রাজি কি না, তা রাজ্য জানতে চেয়েছিল। সেই মতো এর আগে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ৬৫টি হোটেলের প্রায় ২২০০টি ঘর চিহ্নিত হয়। এর পরে বিদেশ থেকে এখন যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য কলকাতায় তিন থেকে পাঁচ তারা ১১টি হোটেলে ৭৮৩টি ঘর চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের এমন আরও ১০টি হোটেলে বরাদ্দ হয়েছে ৬০০টি ঘর।

সুদেশবাবুদের মতে, মাসে কোনও হোটেলের ৩৫% ঘর ভাড়া হলে অন্তত পরিচালনার খরচের বেশ কিছুটা উঠে যায়। এ ক্ষেত্রে চিহ্নিত ঘরগুলির অর্ধেকও ভরলে সংশ্লিষ্ট হোটেল লোকসান কিছুটা পোষাতে পারবে।

Advertisement

তিনি জানান, বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কাউকে নিভৃতবাসে থাকতে হবে কি না, তা স্বাস্থ্য দফতর ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তার পরে তাঁদের কেউ হোটেলে থাকতে পারবেন। হোটেল মালিকদের দাবি, কঠোর ভাবে মানছেন স্বাস্থ্যবিধি। ঘর নেওয়া অতিথির সংস্পর্শে যাতে কর্মীরা না আসেন, তা নজরে রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘বিপদ’ মানতে নারাজ ট্রাম্প

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement