Export

রফতানিতে উৎসাহ, বিতর্ক দেশেও

জিটিআরআইয়ের দাবি, ভারত থেকে ভর্তুকির রফতানি বিশ্ব বাণিজ্য নীতির বিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বহু দেশে এখানকার পণ্য ঢুকলেই তাতে পাল্টা শুল্ক (কাউন্টারভেলিং ডিউটি) চাপানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ভারতে রফতানিকারীদের জন্য চালু বিভিন্ন উৎসাহ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই সরব আমেরিকা-সহ বহু দেশ। তাদের অভিযোগ, বিশ্ব বণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতি ভেঙে এ ভাবে রফতানি শিল্পকে ভর্তুকি দেয় সরকার। তাই পণ্যের দাম কম রেখে অনৈতিক ভাবে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় তারা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আইনি কাঠামোর মধ্যে দাঁড়িয়ে এই সমালোচনা যুঝতে তাই দেশে রফতানির জন্য আমদানি করা কাঁচামাল এবং কল-কারখানায় পণ্য উৎপাদনের যন্ত্রপাতি বা মূলধনী পণ্যে আমদানি শুল্ক কমানোর পরামর্শ দিল উপদেষ্টা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপ রফতানিতে উৎসাহ দেবে। অথচ দেশে কমিয়ে আনা যাবে রফতানি প্রকল্পের সংখ্যা।

Advertisement

যদিও রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়োর পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান যোগেশ গুপ্ত বলেন, “রফতানিতে আর্থিক উৎসাহ প্রকল্পগুলি অনেকটা সুরাহা দেয়। বরাত সরবরাহ করার সময় তা পাওয়া যায়। ওই সব প্রকল্পের মাধ্যমেই রফতানির জন্য পণ্য আমদানি করলে, তাতে শুল্ক ছাড় পাই। যাতে পণ্যের সঙ্গে করের বোঝাও চলে না যায়, তা নিশ্চিত করে ওই ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক ভাবেই স্বীকৃত এটি। তাই জিটিআরআইয়ের পরামর্শের সঙ্গে আমরা সহমত নই।’’

জিটিআরআইয়ের দাবি, ভারত থেকে ভর্তুকির রফতানি বিশ্ব বাণিজ্য নীতির বিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বহু দেশে এখানকার পণ্য ঢুকলেই তাতে পাল্টা শুল্ক (কাউন্টারভেলিং ডিউটি) চাপানো হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন এ দেশের রফতানিকারীরা। উৎসাহ প্রকল্পগুলি পরিচালনায় সমস্যায় পড়ে কেন্দ্র। তাই রফতানি প্রকল্পের সংখ্যা কমিয়ে রফতানিকারীদের আমদানি করা পণ্যে শুল্ক ছাড়ের পক্ষে তারা। তাতে রফতানিকারীরা বেশি উপকৃত হবেন বলে মত এই উপদেষ্টার।

Advertisement

এঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং নিপা এক্সপোর্টসের ডিরেক্টর রাকেশ শাহের মতে, ‘‘জিটিআরআই যে সুবিধা দিতে বলেছে, তা রফতানি প্রকল্পগুলির মাধ্যমেই পাচ্ছি। যেমন, এক্সপোর্ট প্রোমোশন ক্যাপিটাল গুডস প্রকল্পে যন্ত্র আমদানিতে মেলে শুল্ক ছাড়। তা ছাড়া, আমদানি শুল্ক কমানো হলে কাঁচামাল ও যন্ত্র বিদেশ থেকে আনার উৎসাহ বাড়বে। দেশীয় শিল্পের জন্য যা ক্ষতিকারক হতে পারে।’’

যোগেশ ও রাকেশ বরং মনে করেন কিছু দেশের ভুল ধারণার সামনে মাথা নীচু করা ঠিক নয়। ভারতের রফতানি প্রকল্প ঘিরে আন্তর্জাতিক স্তরে যে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, তা দূর করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে কথা বলা দরকার কেন্দ্র ও রফতানি শিল্পের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement