সিআইই-র সমীক্ষার প্রেক্ষিতে মোদী সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের। ফাইল চিত্র।
অতিমারির ধাক্কায় বহু মানুষের কাজ খোয়া যাওয়ার ফলে একটা সময়ে দেশে বেকারত্বের হার দুই অঙ্কে ঢুকে পড়েছিল। এমন ছবিই উঠে এসেছিল উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র সমীক্ষায়। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। অস্বস্তিকর জায়গায় থাকলেও ওই হার লকডাউনের সময়ের তুলনায় কমেছে। কিন্তু এরই আড়ালে লুকিয়ে থাকা আরও একটি অস্বস্তিকর তথ্য উঠে এসেছে ওই সংস্থাটিরই সাম্প্রতিক সমীক্ষায়। সেখানে জানানো হয়েছে, কাজের (অথবা উপযুক্ত কাজের) অভাবে হতাশ হয়ে কাজের বাজারে পা রাখার যোগ্য ৯০ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জীবিকা খোঁজাই ছেড়ে দিয়েছেন। দেশের কর্মিবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহিলাদের।
মোদী সরকারকে আক্রমণের এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি কংগ্রেস। বিরোধীদের কটাক্ষ, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার সময়ে বছরে দু’কোটি কাজ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। তিনি স্বপ্ন দেখেন, তাঁর শাসনকালই ভারতের ‘অমৃতকাল’ হয়ে উঠুক। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে এর উল্টো।
সিএমআইই-র সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কাজের যোগ্য এবং কাজের বাজারে পা রাখা মানুষের অনুপাত ৪৬% থেকে নেমে এসেছে ৪০ শতাংশে। কাজের খোঁজ বন্ধ করে দেওয়া মানুষের সংখ্যা ৪৫ কোটির বেশি। গত কয়েক বছরে ২.১ কোটি মহিলা কাজের বাজার থেকে সরে গিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিএমআইই-র সিইও মহেশ ব্যাস বলেছেন, ‘‘ভাল মানের কাজের এবং পরিবহণ ব্যবস্থার অভাবই মহিলাদের পেশা থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।’’
রাহুলের টুইট, ‘‘নতুন ভারতের নতুন স্লোগান, হর ঘর বেরোজগারি, ঘর ঘর বেরোজগারি।... ৭৫ বছরে মোদীই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁর মাস্টারস্ট্রোকে ৪৫ কোটির বেশি মানুষ কাজ পাওয়ার আশা হারিয়েছেন।’’ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা লিখেছেন, ‘‘যে দেশে সবচেয়ে বেশি যুব সম্প্রদায়ের বাস, সে দেশের সরকার আশার বদলে নিরাশা এবং হতাশার বীজ বপণ করছে। যুবকদের ভবিষ্যতের পক্ষে এর চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কিছুই হতে পারে না।’’