গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। কিন্তু কংগ্রেসের বক্তব্য, সেই তদন্ত এখনও কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রককে অনেক কিছুর জবাব দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে আজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উল্লেখ করে মরিশাসের দু’টি লগ্নিকারী সংস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। দাবি করেছে, আদানিদের শেয়ারে বেআইনি ভাবে পুঁজি ঢেলে সেগুলির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার পিছনে ছিল এই দুই সংস্থা।
আজ একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকার শেয়ার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে মরিশাসের দু’টি লগ্নিকারী সংস্থার (এফপিআই) কথা বলা হয়েছিল। যারা সেবির বিদেশি লগ্নি বিধি লঙ্ঘন করে আদানি গোষ্ঠীর টাকা ঘুরপথে দেশে এনে তাদেরই সংস্থায় অতিরিক্ত পুঁজি ঢেলেছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি সেবির নতুন বিদেশি লগ্নি বিধি থেকে ছাড় পেতে সিকিউরিটি বাজারের আপিল ট্রাইবুনালের (স্যাট) কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। নতুন বিধিতে রয়েছে, ভারতের বাজারে পুঁজি ঢালার ফলে আদতে কোন লগ্নিকারী উপকৃত হলেন, সেই সম্পর্কে সেবির কাছে তথ্য সরবরাহ করতে হবে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে। ঘুরপথে শেয়ার বাজারে কালো টাকা ঢোকানো হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখতেই এই পদক্ষেপ।
আজ এক্স-এ রমেশের বক্তব্য, ‘‘মোদানি (মোদী এবং আদানি) মহা কেলেঙ্কারিতে মরিশাসের দু’টি লগ্নিকারী সংস্থার নাম জড়িয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বরের সময়সীমার আগে সেবির নতুন বিদেশি লগ্নি বিধি মানা থেকে রেহাই চেয়ে স্যাটের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা।... সেবি যখন বিদেশি লগ্নি বিধি শিথিল করেছিল, তখন এই সংস্থাগুলি তার সুবিধা নিয়েছিল।’’ সেবির তদন্তের গতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলটি। তাদের দাবি, এই সমস্ত অভিযোগের তদন্তের কাজ সেবির দু’মাসের মধ্যে শেষ করে সুপ্রিম কোর্টকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৮ মাস পার হয়ে গিয়েছে।
এরই মধ্যে চিনে শাখা সংস্থা খুলেছে আদানি গোষ্ঠী। শেয়ার বাজারকে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে তাদের অধীন একটি সংস্থার মাধ্যমে চিনের সাংহাইতে আদানি এনার্জি রিসোর্সেস নামে সংস্থাটি তৈরি করেছে তারা।