Unemployment

কাজ নিয়ে তোপ বহাল কংগ্রেসের

সোমবার কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকারকে ফের আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর দাবি, ২০২১-২০২৪ সালে ৮ কোটি চাকরি তৈরির তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘অর্ধসত্য’ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গের পরে সোমবার কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী সরকারকে ফের আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর দাবি, ২০২১-২০২৪ সালে ৮ কোটি চাকরি তৈরির তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘অর্ধসত্য’ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কেন্দ্র। আসলে এ সময়ে ‘কাজ হারানো আর্থিক বৃদ্ধির’ মুখ দেখেছে দেশ।

Advertisement

এই অবস্থায় সোমবার শ্রম মন্ত্রকের সঙ্গে পঞ্চম আঞ্চলিক বৈঠকে ঠিকমতো কর্মসংস্থানের তথ্য তৈরি করা, কাজের সুযোগ বাড়াতে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলার সওয়াল করেছে একাধিক রাজ্য। শ্রমসচিব সুমিতা দাওরা বলেন, চাকরির সুযোগ তৈরির নিরিখে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্রমতালিকা প্রকাশ জরুরি।

রমেশের বক্তব্য, গত ক’মাসে একাধিক কেলেঙ্কারি ও সিদ্ধান্ত ফেরানোর মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারে ‘অজৈবিক’ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর হয়ে ঢাক পেটানো ব্যক্তিরা অর্থনীতির পরিসংখ্যানে সান্তনা খুঁজছেন। দাবি করছেন, ২০২১-২০২৪ সালে ৮ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে। রমেশের বক্তব্য, এ জন্য কেন্দ্র রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ক্লেমসের তথ্য তুলে ধরছে। ২০১৭-২০২৪ পর্যন্ত ইপিএফও-র তথ্য দেখিয়ে ৬.২ কোটি কাজ তৈরির কথা বলেছে। কিন্তু কোথাও চাকরির মানের কথা নেই।

Advertisement

কংগ্রেস নেতার দাবি, আরবিআই-এর তথ্যে নতুন চাকরিতে রয়েছে মহিলাদের গৃহকর্মও। যাতে টাকা তো মেলেই না, নতুনও নয়। করোনায় বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বা শহর থেকে গ্রামে গিয়ে কৃষি ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে যোগ দিয়েছেন। তাকেও নতুন কাজ বলে ধরা হয়েছে। ইপিএফও-র তথ্য সংগঠিত ক্ষেত্রের, যা মোট কাজের ১০ শতাংশেরও কম। বহু মানুষ চাকরি ছাড়লেও বেশি রিটার্নের আশায় টাকা রেখেন দেন ইপিএফও-র প্রকল্পে। তাঁদের কর্মী হিসেবে দেখানো হয়েছে। রমেশের তোপ, কোনও ভাল কথাই সত্যি চাপা দিতে পারবে না যে, ২০১৪-২৪ হল ‘কাজ হারানোর বৃদ্ধির’ সময়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement