2G Spectrum Case

স্পেকট্রাম নিয়ে দ্বিচারিতার অভিযোগ রমেশের

২০১২-র রায়ে সমগ্র ২জি স্পেকট্রাম বণ্টন পদ্ধতিকে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। বলেছিল, জাতীয় সম্পদের বণ্টন নিলাম মারফত হওয়া উচিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২৬
Share:

জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

এক যুগ আগে ২জি স্পেকট্রাম মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে কিছু বদল চেয়ে শীর্ষ আদালতের কাছেই কেন্দ্র মৌখিক আবেদন জানিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যদিও এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক দাবি করেন, হাতে গোনা কিছু ক্ষেত্র বাদে অন্যত্র স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে নিলাম নীতির ব্যতিক্রম চায় না কেন্দ্র। তবে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। বিরোধী দলটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ইউপিএ জমানায় প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনকে ‘দুর্নীতি’ বলেছিল বিজেপি। এখন মোদী সরকারই সরাসরি স্পেকট্রাম বিলির জন্য সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চাইছে। বিজেপির ‘দ্বিচারিতার’ সীমা-পরিসীমা নেই।

Advertisement

২০১২-র রায়ে সমগ্র ২জি স্পেকট্রাম বণ্টন পদ্ধতিকে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। বলেছিল, জাতীয় সম্পদের বণ্টন নিলাম মারফত হওয়া উচিত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি দাবি করে, অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি সেই রায়ে কিছু বদল চেয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মৌখিক আবেদন করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ই-মেলে আবেদন জানাতে বলেছে।

রমেশ বলেন, ‘‘মোদী সরকার ও ‘ভ্রষ্ট জনতা পার্টির’ দ্বিচারিতার সীমা নেই। মনমোহন সিংহের আমলে কেন্দ্রের মাধ্যমে ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনকে দুর্নীতি বলে প্রচার করেছিল তারা। এখন উল্টো চাইছে। সরকারের ইচ্ছে অনুযায়ী নিলাম ছাড়া স্পেকট্রাম বিলি করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা।’’ রমেশের দাবি, ‘‘অবশ্যই বন্ধু পুঁজিপতিদের জাতীয় সম্পদ বি‌লি করেছে ‘মোদানি জমানা’। বিমানবন্দরগুলি একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। নিলামে জালিয়াতি করে কয়লা খনি বিলি হয়েছে। ১৫০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ডের বদলে দেওয়া হয়েছে উপগ্রহের স্পেকট্রাম। বিজেপিকে যে সব বড় সংস্থা চাঁদা দেয় তাদের হাতে ৪ লক্ষ কোটি টাকার জাতীয় সম্পদ তুলে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement