Congress

অর্থনীতির বিপদ-ঘণ্টা বাজছে, দাবি কংগ্রেসের

মঙ্গলবার এক বিবৃতি জারি করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ভারতীয় অর্থনীতির বিপদ-ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। শুনতে পাচ্ছেন না শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫৫
Share:

জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

উঁচু মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, গ্রামাঞ্চলের সমস্যাদীর্ণ আর্থিক পরিস্থিতি এবং অসাম্য নিয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশে অনেক দিন ধরেই আক্রমণ শানিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলি। এ বার একটি আর্থিক সংস্থার রিপোর্ট উল্লেখ করে সুর আরও চড়াল তারা। মঙ্গলবার এক বিবৃতি জারি করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ভারতীয় অর্থনীতির বিপদ-ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। শুনতে পাচ্ছেন না শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নেতৃত্বে দেশে বেকারত্ব নজির তৈরি করেছে। মাথা তুলেছে মূল্যবৃদ্ধির হার। মানুষের প্রকৃত মজুরি কমেছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবন হয়েছে আরও কষ্টসাধ্য।

Advertisement

অতিমারির পর থেকে মজুরি বৃদ্ধি এবং জিনিসপত্র কেনাকাটার ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় গ্রাম যে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে, তা উঠে এসেছে বহু আর্থিক ও মূল্যায়ন সংস্থার সমীক্ষায়। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। সম্প্রতি তেমনই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ডিসেম্বরে ভারতে পরিবারগুলির সঞ্চয় নেমে এসেছে জিডিপির ৫ শতাংশে। যে হার গত ৪৭ বছরের সর্বনিম্ন। এ দিনের বিবৃতিতে রমেশের ব্যাখ্যা, চাহিদা অনুযায়ী কাজ তৈরি না হওয়া এবং যাঁদের হাতে কাজ রয়েছে তাঁদের দুর্বল আয় বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ। যার জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার খরচ মেটাতে গিয়ে শখ পূরণ কিংবা সঞ্চয় ও লগ্নির মতো যথেষ্ট অর্থ পড়ে থাকছে না সাধারণ মানুষের হাতে। আর সঞ্চয় কমা মানেই ব্যাঙ্কের তহবিলের ঘাটতি। তার ফল ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির কাছে কম সুদে যথেষ্ট পরিমাণে ঋণ না পৌঁছনো। সব মিলিয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড
ব্যাহত হওয়া।

সেই রিপোর্ট উল্লেখ করে রমেশের আরও দাবি, দেশের পরিবারগুলির ঋণের হার জিডিপির ৪০% পার করেছে। এমনটা মনে করার কারণ নেই যে, এই ধারের বড় অংশ গাড়ি কিংবা গৃহঋণ। বরং ব্যক্তিগত ঋণের মধ্যে গৃহঋণের আনুপাতিক হার ৫০ শতাংশের নীচে নেমেছে। পাঁচ বছরে এই প্রথম। গাড়ির বাজারেও দু’চাকা বা সস্তা চার চাকার তুলনায় দামি গাড়ির চাহিদা বেশি। প্রকৃতপক্ষে গত ডিসেম্বরে স্বর্ণঋণ বিপুল ভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। যাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আর্থিক সমস্যায় দীর্ণ মানুষকে তাঁদের সেই শেষ সম্বলটুকু বন্ধক রেখে ধার করতে হয়েছে। রমেশের বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকার এই সমস্যার কথা স্বীকার করবে না। অর্থ মন্ত্রকও নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবে। তবে বাস্তব হল, চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং মজুরি এক জায়গায় আটকে থাকার ফলে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সংকট থেকে বার হয়ে আসার জন্য ধার করতে হচ্ছে। সঞ্চয় তো দূরস্থান, পরিবারগুলি ধীরে ধীরে ঋণের সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement