আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দরে কারচুপির তদন্তে সেবি ব্যর্থ বলে দাবি করল কংগ্রেস। —ফাইল চিত্র।
ফের আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দরে কারচুপির তদন্তে সেবি ব্যর্থ বলে দাবি করল কংগ্রেস। সংবাদমাধ্যমের খবর তুলে ধরে বিরোধী দলের দাবি, নিয়ন্ত্রকটির ভূমিকা খতিয়ে দেখাই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির মূল কাজ ছিল। সার্বিক ভাবে আদানি কাণ্ডের তদন্ত নয়। আর আদানিদের শেয়ার দর বিপুল বৃদ্ধি নিয়ে যে সেবি ঠিকমতো তদন্ত করতে পারেনি, সেটা ওই কমিটির রিপোর্টেই স্পষ্ট। ফলে একে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া বলা যায় না। যে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতারা।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে আদানির সংস্থায় কারচুপি করে শেয়ার দর বৃদ্ধি ও কর ফাঁকির অভিযোগ করেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এ নিয়ে সেবি তদন্তে নামে। আবার আলাদা কমিটিও তৈরি করে শীর্ষ আদালত। সেই কমিটিই রিপোর্টে জানায়, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিতে কারচুপি করে শেয়ার দর বৃদ্ধির অভিযোগের তদন্তে সেবি-র কোনও খামতি নেই।
কিন্তু বুধবার টুইটে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, মৃদু হলেও সুপ্রিম কোর্ট কমিটির রিপোর্ট স্পষ্ট বলেছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সেবি ফান্ডের মালিকানা নিয়ে নিয়মে যে বদল এনেছিল, তা আদতে নিয়ন্ত্রক হিসেবে তাদের ব্যর্থতা। এমনকি যোগসাজশও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তার উপরে ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আদানিদের শেয়ার লেনদেনে নিয়ম ভাঙা নিয়ে সেবি-র কাছে ৮৪৯টি রিপোর্ট গিয়েছিল। যার মধ্যে ২৪৬টিই সংস্থার গোপন তথ্য জেনে লেনদেনের অভিযোগ। সেই তদন্ত এখনও চলছে। সেবিকে সে জন্য অগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
পাশাপাশি, আদানিদের শেয়ার লেনদেনে এলআইসি-র ভূমিকা নিয়েপ্রশ্ন তুলেছেন রমেশ। দাবি, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থাটিই সর্বাধিক শেয়ার কিনেছে। আর বিক্রি করেছে ১৩টি বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা। যারা ইতিমধ্যেই সেবি-র আতসকাচের তলায় রয়েছে। রমেশের কটাক্ষ, এটা ঠিক যে সেবি-র ভূমিকা নিয়ে বার্তায় কমিটি সংযত। কিন্তু সত্যিটা তাদের পক্ষে ভাল নয়। এ নিয়ে যে আক্রমণ চলবে, তা-ও স্পষ্ট করেছেন তিনি।