প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
ভারত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং দেশকে উৎপাদন শিল্পের ‘হাব’ হিসেবে গড়তে সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করছে সরকার— যে দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বার্তা দিলেন, সে দিনই ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই, বিশ্ব ব্যাঙ্কের দারিদ্র সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং দেশের অর্থনীতির ‘প্রকৃত’ অবস্থা নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধল বিরোধীরা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের তোপ, ‘‘কেন্দ্র ঘুমোচ্ছে। জেগে উঠে দেখুক বাস্তবটা কী।’’ কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতের দাবি, মোদী আদৌ উদ্বিগ্ন নন। এখনও ফাঁকা স্লোগানকেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
এই অর্থবর্ষে ভারতে ৬.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সুপ্রিয়ার দাবি, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলেছে, করোনা চরম দারিদ্রের মুখে ঠেলেছে আরও ৫.৬ কোটি মানুষকে। অনেকের মতে তা ২৭-৩০ কোটি। তাঁর কটাক্ষ, মোদী সরকারের যা চরিত্র, তাতে হয়তো বলা হবে এটা ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ইডি-কে কাজে লাগাবে।
অনেকের বলছেন, দেশে মূল্যবৃদ্ধি বা টাকার দামে পতন, সবের জন্যই বিশ্বের অবস্থাকে দায়ী করে কেন্দ্র। চিদম্বরমের প্রশ্ন, ‘‘তা হলেই কি কেন্দ্র হাত ধুয়ে ফেলতে পারে? সরকারে ওঁরা রয়েছেন কেন? আমরা কি বলতে পারতাম ২০১৩-এ সব কিছু হয়েছিল ফেডারাল রিজ়ার্ভের জন্য? কেউ কি বলতে পারেন, ২০০৮ সালের সব সমস্যার মূলে ছিল বিশ্বের আর্থিক সঙ্কট? অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির সঙ্গে বহির্বিশ্বের সমস্যা, সবই তো (সরকারকে) সামলাতে হবে!’’
বিরোধীদের প্রশ্ন, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর নামলেও কেন দেশে দাম কমানো হল না? বিশেষত যখন চড়া জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ? যদিও আজ কংগ্রেসকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়।