—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশে কর্মসংস্থানের উদ্বেগের ছবি মাঝে মধ্যেই উঠে আসছে উপদেষ্টা সংস্থাগুলির পরিসংখ্যানে। অভিযোগ, শিক্ষা শেষে কাজের জগতে পা রাখা প্রার্থীদের তুলনায় কাজের সুযোগ কম তৈরি হয়। যদিও শিল্পমহলের একাংশের দাবি, অনেক সময়ে মেলে না চাহিদা মতো দক্ষ প্রার্থী। সম্প্রতি ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে প্রকাশিত রিপোর্টে দ্য টেলিকম সেক্টর স্কিল কাউন্সিল (টিএসএসসি) জানিয়েছে, এখনই এই শিল্পে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। ২০৩০ সালে তা ৩.৮ গুণ বাড়তে পারে।
টিএসএসসির রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন টেলিকম ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ফারাক প্রায় ২৪ লক্ষের। কম্পিউটার সায়েন্স, তথ্যপ্রযুক্তি, গণিতের স্নাতকদের মাত্র ৪০% প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মযোগ্য। টিএসএসসির সিইও অরবিন্দ বালির বক্তব্য, টেলিকম ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প ক্ষেত্র। বড় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির সূত্রও। ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট ৫জি গ্রাহকের ১১% হবেন এ দেশের। তাই দক্ষতা বাড়াতে ও কর্মী নিয়োগে যথাযথ কৌশল স্থির করতে পারলে বাজারের চাহিদা মতো কাজের সুযোগ তৈরি সহজ হবে।
রিপোর্টের হিসাব, ২০২৫ সালে ভারতে ৫জি প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পে ২.২ কোটি দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। আর ভারতই হয়ে উঠবে একমাত্র দেশ, যেখানে প্রযুক্তি, গণমাধ্যম ও টেলি যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রায় ১৩ লক্ষ বাড়তি দক্ষ কর্মী থাকার সম্ভাবনা।