— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত বছরের তুলনায় চড়ে রয়েছে পেঁয়াজ, টোম্যাটো আর আলুর দাম। চাল, ডালের খরচও বেড়েছে। গত মাসে বাড়িতে নিরামিষ খাবার রান্না করতে গিয়ে দেশের মানুষ তার আঁচ টের পেয়েছেন, দাবি মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের। বুধবার প্রকাশিত তাদের রিপোর্টে দাবি, সেই কারণেই আগের বছরের এপ্রিলের থেকে এ বার গৃহস্থের হেঁশেলে নিরামিষ থালি তৈরির গড় খরচ বেড়েছে ৮%। ভাত, রুটি, আনাজ (আলু, পেঁয়াজ, টোম্যাটো দিয়ে তৈরি), ডাল, দই, সালাডের সেই পাত রাঁধতে আগের বছর এপ্রিলে লেগেছিল ২৫.৪ টাকা। এ বারের খরচ ২৭.৪ টাকা। আগের মাস, অর্থাৎ মার্চের ২৭.৩ টাকা থেকেও তা বেশি, তবে অতি সামান্য।
আমিষ রান্নার খরচ অবশ্য বার্ষিক নিরিখে ৪% কমেছে। আগের বছর ছিল ৫৮.৯ টাকা। এ বার হয়েছে ৫৬.৩ টাকা। মুরগির মাংসের ১২% সস্তা হওয়া এর প্রধান কারণ। এই থালির অর্ধেক খরচই যেটির। তার উপর ডালের খরচ লাগে না এই পাতে। কারণ, তার বদলে মাংস দেওয়া হয়। তবে মার্চের ৫৪.৯ টাকার সঙ্গে তুলনা করলে এখানেও স্বস্তি উধাও। চাহিদা বাড়ায় মাংসের দাম মার্চের থেকে ৪% বেড়েছে। ফলে মাসের নিরিখে আমিষ থালি দামি হয়েছে ৩%।
আর ক’দিন পরেই বেরোবে এপ্রিলে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান। সার্বিক ভাবে তার হার কিছুটা মাথা নামালেও, এখনও পর্যন্ত খাদ্যপণ্যের দামে স্বস্তি ফেরেনি। মার্চেও তা ছিল ৮ শতাংশের উপরে। বাজারে ওঠানামা করছে আনাজের দর। যে কারণে হালে দেশ জুড়ে চলা তাপপ্রবাহ চিন্তা বাড়িয়েছে। সকলে হা-পিত্যেশ করে বসে আবহাওয়া দফতরের স্বাভাবিকের থেকে বেশি বর্ষার পূর্বাভাস সত্যি হওয়ার অপেক্ষায়। আশা, তাতে আনাজ ধারাবাহিক ভাবে কিছুটা সস্তায় মিলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে ক্রিসিল ‘রুটি ভাতের দাম’ (রোটি রাইস রেট) রিপোর্টে বলেছে, আগের বছরের তুলনায় এপ্রিলে জিরে, লঙ্কা এবং ভোজ্যতেলের দাম কমেছে যথাক্রমে ৪০%, ৩১% এবং ১০%। যা নিরামিষ থালির খরচ আর বেশি চড়ার আশঙ্কাকে রুখে দিয়েছে।