—প্রতীকী চিত্র।
একে বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার চড়া। তার উপরে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় অশান্ত বিশ্ব। এই সব কিছুর প্রভাবে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা বেশ কিছু দিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারকে কাহিল রেখেছে। যে কারণে গত আর্থিক বছরে এক সময় নাগাড়ে কমেছিল রফতানি বাণিজ্য। সেই ধাক্কা চলতি অর্থবর্ষে কেটে যাবে, খুব জোর দিয়ে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই। বরং আশঙ্কা বহাল বলেই মনে করছে দেশে রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো। যদিও তাদের আশা, গত বারের থেকে হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে বিক্রি।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে কম করেও ১৫টি পণ্যের রফতানি কমেছে। যার জেরে মোট রফতানির অঙ্ক ২০২২-২৩ সালের থেকে গত অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) কমেছে ৩.১১%। ফিয়ো-র ডিরেক্টর জেনারেল এবং সিইও অজয় সহায়ের অবশ্য বার্তা, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির যদি কিছুটা উন্নতি হয়, তা হলে এই অর্থবর্ষে ৯০,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ৭৫,১০,৫০০ কোটি টাকা) মূল্যের পণ্য ও পরিষেবা রফতানি হবে বলে আশা।
অজয় জানান, মূল্যবৃদ্ধির জেরে চাহিদা কমার বিরূপ প্রভাব রফতানি শিল্পে ছিলই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তাতে ইন্ধন জোগায়। সমস্যা বাড়ায় ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষ। জঙ্গি গোষ্ঠীর হানায় সুয়েজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হন রফতানিকারীরা। এই সবের মিলিত ধাক্কাই পড়েছে ভারতের রফতানি বাণিজ্যে। সঙ্কট বাড়িয়েছে ইরান-ইজ়রায়েল অশান্তি। সুয়েজে জঙ্গি হামলার জেরে পণ্য নিয়ে ঘুরপথে জাহাজগুলিকে যেতে হচ্ছে। এতে এক দিকে যেমন জাহাজের ভাড়া এবং পণ্যের বিমা খরচ বেড়ে গিয়েছে, তেমনই অন্য দিকে সময় লাগছে বেশি। সব মিলিয়ে মোট রফতানি খরচ বেড়েছে অনেকটা। তা ছাড়া, বিদেশের বাজারে চাহিদা কমায় বিক্রি হতেও সময় লাগছে বেশি। আমদানিকারী দাম মেটাচ্ছেন দেরিতে।