Hilsa Export

বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির সুযোগ নিতে ব্যর্থ রাজ্য, বাংলার ইলিশ রফতানি তলানিতেই

বাণিজ্য মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে খবর, এই অর্থবর্ষে গত মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইলিশ রফতানি হয়েছে মাত্র ২৯০ কেজি। রাজ্যে বিপুল চাহিদাই এর কারণ। গত অর্থবর্ষে রফতানি হয়েছিল ১৪৫০ কেজি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৫৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

গত কয়েক বছর ধরেই হতাশ বহু ইলিশ-প্রেমী বাঙালি। অভিযোগ, রফতানির পরে রাজ্যে চাহিদার তুলনায় জোগান থাকে কম। ফলে আগুন দামে হাত ছোঁয়ানোই কঠিন হয়। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, রফতানি বাজারেও কমছে বাংলার ইলিশ। ধাক্কা খাচ্ছে আয়। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্ব বাজারে বৃহত্তম ইলিশ রফতানিকারী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা জোগান বাড়িয়ে বেশি আয়ের সুযোগ খুলেছিল এ রাজ্যের সামনে। লাভ হয়নি।

Advertisement

বাণিজ্য মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে খবর, এই অর্থবর্ষে গত মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইলিশ রফতানি হয়েছে মাত্র ২৯০ কেজি। রাজ্যে বিপুল চাহিদাই এর কারণ। গত অর্থবর্ষে রফতানি হয়েছিল ১৪৫০ কেজি। তার আগের বার ২৮৫ কেজি। ২০২১-২২ সালে ১৯,৮০০ কেজি হলেও, তা গিয়েছিল মূলত বাংলাদেশে। ইয়াস, অশনি, সিত্রাং-এর মতো ঘূর্ণিঝড়ের দরুন তাদের ইলিশ কিনতে হয় ভারত থেকে। সিংহভাগই জুগিয়েছিল বাংলা। এখন রাজ্য মূলত ইংল্যান্ড এবং ইউরোপে পাঠায়।

দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “ভারত থেকে খুব কম ইলিশ ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে। যা যাচ্ছে, তার বেশিটাই বাংলার। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতও কিছু রফতানি করে। তবে ছোট ইলিশ ধরা রুখতে কেন্দ্র কড়া আইন না আনলে রফতানি বাড়ানো অসম্ভব।” তাঁর দাবি, বাংলায় এমন আইন রয়েছে। কিন্তু ওড়িশায় নেই। কেন্দ্র পদক্ষেপ করলে হয়তো দেশীয় চাহিদা মিটিয়েও রফতানি বাড়বে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিজন মাইতিরও একই দাবি। বক্তব্য, “রাজ্যের ইলিশ বিদেশে তেমন যায় না। তবে এখনও পশ্চিমবঙ্গ তা ধরায় শীর্ষে। তার পরে ওড়িশা।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement