—প্রতীকী চিত্র।
খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ফেব্রুয়ারিতেও ছিল ৫ শতাংশের উপরে (৫.০৯%)। মার্চে তা আরও নেমেছে নাকি ফের উঠেছে, জানা যাবে সামনের ১২ তারিখ। তারই মধ্যে অর্থনীতিবিদদের নিয়ে করা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সমীক্ষায় অনুমান, মার্চে মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামাবে। তবে খুব সামান্য। দাঁড়াতে পারে ৪.৯১ শতাংশে। এই হার পাঁচ মাসে সর্বনিম্ন হলেও, তার আরও নামার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে সেই খাদ্যপণ্যের চড়া দাম। ফেব্রুয়ারিতেও যার মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের বেশি।
সম্প্রতি ঋণনীতি ঘোষণার দিন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস খাদ্যপণ্যের দামে অস্থিরতার কথা বলেন। ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামাবে বলে আশা প্রকাশ করলেও, চেপে রাখেননি এ বারের গ্রীষ্মে চড়া গরমে আনাজের দাম নিয়ে উদ্বেগ। এই অবস্থায় গত ৪-৮ এপ্রিল ৫০ জন অর্থনীবিদকে নিয়ে করা সমীক্ষায় বার্কলেজ়-এর বিশ্লেষক শ্রেয়া সোধানি বলেন, খাদ্য, জ্বালানি বাদে অন্যান্য জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি (কোর ইনফ্লেশন) মাথা নামানোতেই মার্চে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি নামতে পারে। তার উপরে হিসাব হবে গত বছর মার্চের চড়া ভিতে পা রেখে। কোর ইনফ্লেশন হতে পারে ৩.২৭%। ডিবিএস ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ রাধিকা রাও-এর মতে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্যের (৪%) নীচে থাকলেও, তার পরে ফের মাথা তুলতে পারে। যার প্রধান কারণ জোগানে সমস্যা। তবে সকলেই একমত, সম্ভবত অক্টোবর-ডিসেম্বরে সুদ কমাবে আরবিআই।