ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ তোলেন বহু ক্রেতা। প্রতীকী ছবি।
মাথা গোঁজার নিজস্ব ঠিকানা চান সকলেই। কিন্তু সেই লক্ষ্যে ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ তোলেন বহু ক্রেতা। সেগুলি খতিয়ে দেখতে আবাসন আইন রেরা বা এলসিএলটি-র মতো পৃথক ট্রাইবুনাল থাকলেও, ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে আসা অভিযোগের প্রায় ১০% আবাসন সংক্রান্ত সমস্যা। যা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাই মঙ্গলবার মুম্বইতে মহারাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
কেন্দ্র আবাসন আইন তৈরির পরেও যে এই ক্ষেত্রে সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে, তা স্পষ্ট ওই দফতরের বার্তাতেই। তারা জানিয়েছে, আবাসন ক্রেতাদের অভিযোগের বিহিত করা নিয়ে এই প্রথম এত বড় মাপের বৈঠক হচ্ছে। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত মোট ২.৩০ লক্ষ অভিযোগ জমা পড়েছে বিভিন্ন ক্রেতা-কমিশনে। মীমাংসা হয়েছে প্রায় ১.৭৬ লক্ষের। বৈঠকে আলোচনা হবে, এই ক্ষেত্রে মামলা কমাতে প্রয়োজনীয় নীতি নিয়ে। সে জন্য অভিযোগগুলির বিশ্লেষণ করা হবে। দেখা হবে মূলত কী কারণে ক্রেতারা ক্ষুব্ধ। আইন থাকা সত্ত্বেও কেন কমিশনগুলির কাছে বেশি সংখ্যক অভিযোগ আসছে, খতিয়ে দেখা হবে তা-ও। খুঁজে বার করা হবে দ্রুত সেগুলির নিষ্পত্তি পথ।
জাতীয় কমিশন-সহ নানা পক্ষেরসঙ্গে বৈঠকে থাকবেন ক্রেতা সংগঠন এফপিসিই-র প্রতিনিধিরা। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অভয় উপাধ্যায়ের আশা, ক্রেতাদের সমস্যা দ্রুত মেটাতে আইনি কাঠামো গড়বে ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘রেরা আইনের পরেও আবাসন ক্ষেত্রে অনিয়ম বহাল। রেরা ক্রেতাদের পক্ষে রায় দিলেও অনেক নির্মাতা নির্দেশ মানছেন না। ন্যায়ের জন্য ক্রেতা বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে, রেরা কার্যকরের ছ’বছর পরেও এই সমস্যার সমাধান পেতে আমরা ব্যর্থ।’’