প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP
বাজারে চাহিদা অনুযায়ী কাজের সংখ্যা কম। যে কারণে চড়া বেকারত্ব। অন্য দিকে, আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থা থ্রিএম-এর এক সমীক্ষায় প্রকাশ, বড় মাপের ঘাটতি তৈরি হয়েছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বিভিন্ন কাজে প্রতিনিয়ত প্রয়োজন পড়া দক্ষ কর্মীর জোগানেও। এর মধ্যে বাড়ির কল ভেঙে গেলে, পাইপে কোনও ক্ষতি হয়ে নিকাশি ব্যবস্থায় গোলমাল হলে, কাঠের কাজের জন্য, রং বা ঝালাইয়ের কাজের জন্য, নির্মাণের মতো কাজে ভারী যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য যাঁদের ডাকা হয়, তাঁরা-সহ বহু কর্মী রয়েছেন।
রিপোর্ট বলছে, ভারতে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশই বিশ্বাস করেন এই সমস্ত ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি তৈরি হওয়ার ফলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ভুগতে হতে পারে জীবনযাত্রার খারাপ মানের কারণে। সরকারি বিভিন্ন পরিকাঠামোর অবস্থা বেহাল হতে পারে। এমনকি সুরক্ষাজনিত সমস্যাও মাথাচাড়া দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ৮৫% অংশগ্রহণকারী বলেছেন, এই সব কাজকে আসলে বেশিরভাগ বাবা-মা নিচু কাজ হিসেবে দেখেন। তাই সন্তানকে উৎসাহ দেন না। উল্টে নিরুৎসাহ করেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থা থ্রিএমের এই সমীক্ষা মূলত বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। স্টেট অব সায়েন্স ইন্ডেক্স-২০২৩ (এসওএসআই-২০২৩) সূচক প্রকাশ করেছে তারা। ১৭টি দেশ অংশ নিয়েছিল। প্রতিটি দেশে ১০০০ জন সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সমীক্ষা হয়েছে।
সমীক্ষায় ৯১% বলেছেন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের বিজ্ঞানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুর্বল শ্রেণির। ৯২% সামাজিক সমস্যার বিষয়গুলি নিয়ে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য শুনতে চান।