প্রতীকী ছবি।
হাজার টাকার কম দামের তৈরি পোশাক এবং বস্ত্র শিল্পের বিভিন্ন পণ্যে জিএসটি-র হার বৃদ্ধি নিয়ে দানা বাঁধছে অসন্তোষ আর ক্ষোভ। দ্রুত সিদ্ধান্ত ফেরাতে বলছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। তাদের সংগঠন রিটেল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (আরএআই) দাবি, তা না-হলে ওই শিল্প পুরো ভেঙে পড়তে পারে। মূল্যবৃদ্ধির প্রশ্নে কেন্দ্রকে ফের তোপ দাগছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর কটাক্ষ, ‘‘জিএসটি-তে হয়েছে ১৪০% বিকাশ, বহাল অচ্ছে দিনের পর্দা ফাঁস।’’
দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার মন্তব্য, সব জিনিস দামি হচ্ছে, গমের আটা, মোবাইল ডেটা, জীবন বিমা থেকে শুরু করে জামাকাপড়, জুতো, আনাজ ও ডাল। জীবন যাপনই মহার্ঘ হয়ে উঠছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, নিত্য ব্যবহারের পণ্যের আকাশছোঁয়া দামে ভুগছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, সব রাজ্যের সরকার এবং জিএসটি পরিষদকে সস্তার পোশাকে কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছে আরএআই। সংগঠনের দাবি, করোনায় এমনিতেই কাহিল বস্ত্র শিল্পের ৮৫% এর জেরে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষুব্ধ পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর ফলে সস্তার পোশাক দামি হবে। দুর্ভোগ বাড়বে গরিব এবং সাধারণ রোজগেরেদের। চাহিদায় ধাক্কা লাগায় মার খাবেন ব্যবসায়ীরা। বস্ত্র এবং অন্যান্য কিছু পণ্যের উপরে বর্ধিত জিএসটি নিয়ে ক্ষোভ উগরে রাহুলের অভিযোগ, কেন্দ্র গোটা দেশের মনযোগ বাস্তবের সব থেকে বড় সমস্যা পণ্যের দাম বৃদ্ধি থেকে সরিয়ে জাত-পাত, ধর্মের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। টুইটে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের কথাও বলেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দাম বৃদ্ধির জেরে চাহিদা কমলে ফের ভুগবে ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি। নোটবন্দি, জিএসটি-র পরে করোনায় যারা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১০০০ টাকা পর্যন্ত দামের তৈরি জামাকাপড় ছাড়াও কিছু বিশেষ ধরনের বস্ত্র এবং কৃত্রিম ভাবে তৈরি সুতোয় কর ৫% থেকে বাড়িয়ে ১২% করেছে জিএসটি পরিষদ। ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে। আপত্তি উঠেছে মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে ফিটমেন্ট কমিটি নিত্য ব্যবহার্য বেশ কিছু পণ্যে জিএসটি ৫% থেকে বাড়িয়ে ৭% করার সুপারিশ করায়। ১৮% করের ধাপকে ২০ শতাংশের শ্রেণির মধ্যে মেশাতে বলেছে তারা। চা-কফি (প্রক্রিয়াকরণে), (প্যাকেটবন্দি) চিঁড়ে, মুড়ি, খইয়ে কর বসানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এ সবের প্রতিবাদ জানাচ্ছে শিল্প সংগঠনগুলি। গত শনিবার জিএসটি পরিষদের মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এই সুপারিশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানায় রাজ্য। বলে, আয়ের লক্ষ্যে কর চাপালে মানুষের সমস্যা বাড়বে। বরং কর ফাঁকি রোখা হোক।