প্রতীকী ছবি।
কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতিতে রাশ টানার কথা বলেছে কেন্দ্র। সেই নির্দেশ তাদের প্রশাসনিক দফতর এবং অফিসেও কার্যকর করতে বলেছে ডাক বিভাগ। কিন্তু ডাকঘরে কর্মীদের হাজিরা বা সাধারণ লেনদেনের সময়সীমা একই রয়েছে। অথচ লোকজনের ভিড় সেখানেই হয় বেশি। এতে আপত্তি তুলে ডাকসচিব পি কে বিষয়ি-কে চিঠি দিয়েছেন ডাকঘর কর্মী সংগঠন ন্যাশনাল ফেডারেশন অব পোস্টাল এমপ্লয়িজ়ের (এনএফপিই) সেক্রেটারি জেনারেল আর এ পরাশর। আর্জি জানিয়েছেন, ডাকঘর এবং রেলওয়ে মেল সার্ভিসের অফিসগুলিতেও কর্মীদের হাজিরা নিয়ন্ত্রিত করা হোক। কমানো হোক কাজের সময়। কারণ বহু কর্মী সংক্রমণের মুখে পড়ছেন।
এনএফপিই-র পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক জনার্দন মজুমদার শুক্রবার জানান, ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান) সিপিএমজি-র কাছেও তাঁরা একই আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসনিক দফতরের হাজিরা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত স্বাগত। কিন্তু ডাকঘরগুলিতেই ভিড় বেশি হয়। বহু ডাক কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সেখানেও ৫০% কর্মী দিয়ে রোজকার কাজের সময় কমাতে আর্জি জানিয়েছি আমরা।’’ ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, গত বছর করোনার প্রথম দফার সময়ে কিছু দিন তেমনই করা হয়ছিল।
তবে ভোট পর্ব মেটার আগে আপাতত ডাকঘরগুলি স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে বলে ইঙ্গিত সিপিএমজি মার্ভিন আলেকজ়ান্ডারের। তাঁর দাবি, ডাকঘরের প্রায় সব ধরনের স্তর থেকেই এ বার বেশি সংখ্যক কর্মীকে ভোটের কাজে নিয়োগ করায় এখন এমনিতেই কাজের লোক কমে গিয়েছে। অথচ এটি জরুরি পরিষেবা। তিনি বলেন, ‘‘যেমন জলপাইগুড়িতে অনেক ডাকঘরেই ৫০ শতাংশেরও বেশি কর্মী নির্বাচনের কাজে যুক্ত।’’ আবার অনেক ছোট ডাকঘরে কর্মীর সংখ্যা একজন কিংবা দু’জন, জানান তিনি। তবে ভোট মিটলে অন্তত বড় ডাকঘরে পালা করে হাজিরা চালুর চেষ্টা করা হবে বলে তাঁর আশ্বাস।
জরুরি পরিষেবার কথা মানছেন জনার্দনবাবু। তবে সেই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, কর্মীরা যে ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে এই দাবি ওঠাও স্বাভাবিক। সিপিএমজি অবশ্য মাস্ক-সহ করোনা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগানের ভরসা দিয়েছেন।