ফাইল চিত্র।
দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে ফের মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। চড়া মূল্যবৃদ্ধি ও রাজকোষ ঘাটতি এবং তলানিতে ঠেকা টাকার দর নিয়ে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, অর্থনীতি কি আদৌ সুস্থ রয়েছে? সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যদিও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের দাবি, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ঠিক পথেই এগোচ্ছেন তাঁরা। ডিসেম্বর পর্যন্ত তা সহনসীমার (৬%) উপরে থাকবে, কিন্তু তার পরে খুচরো বাজারে পণ্যের দর বৃদ্ধির হার তার নীচে নেমে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিলে ৭.৭৯% ছুঁয়ে আট বছরে সর্বোচ্চ হওয়ার পরে মে মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার নেমেছে ৭.০৪ শতাংশে। তবে টানা পাঁচ মাস তা শীর্ষ ব্যাঙ্কের ২-৬ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রয়েছে। শক্তিকান্তের মতে, বর্তমানে চড়া মূল্যবৃদ্ধির এই পরিস্থিতি মূলত জোগান সমস্যার কারণে তৈরি হয়েছে। অথচ গৃহস্থ পরিবারের ক্ষেত্রে সাধারণত মানুষ গত দু’তিন মাসে মূল্যবৃদ্ধি কী অবস্থায় ছিল তার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করেন এবং সেখান থেকে ভবিষ্যতের আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেন। শুধু তাঁরাই নন, ব্যবসায়ীরাও একই পথে হাঁটেন। যে কারণে দাম বাড়তে থাকে খাদ্যপণ্য, তৈরি পণ্য এবং পরিষেবার। এমনকি সংস্থাগুলি যদি মনে করে যে মূল্যবৃদ্ধি চড়া থাকবে, তা হলে নিজেদের লগ্নি পরিকল্পনা পিছিয়ে দেয় তারা। এই সময়ে যদি শীর্ষ ব্যাঙ্ক দাম নিয়ন্ত্রণের বার্তা ঠিক মতো পৌঁছে দিতে পারে তা হলে মানুষ আশ্বস্ত হন।
তবে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে কোনও চিন্তার কারণ নেই বলেই ফের স্পষ্ট করেছেন গভর্নর। তাঁর দাবি, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঠিক পথেই এগোচ্ছে দেশ। ঠিক এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন চিদম্বরম। একাধিক টুইটে তাঁর বক্তব্য, চলতি অর্থবর্ষে প্রথমে ৬.৪% রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্য স্থির করেছিল কেন্দ্র। এখন মোদী সরকার বলছে তা ২০২১-২২ সালের মতো ৬.৭ শতাংশেই রাখার চেষ্টা করার কথা। এ ভাবেই কি চড়া ঘাটতি, মাথা তুলে থাকা মূল্যবৃদ্ধি, শেয়ার বাজার থেকে বিপুল বিদেশি লগ্নি চলে যাওয়া, টাকার দামে এবং বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারে পতন দেশের অর্থনীতির ভাল অবস্থা তুলে ধরে, সেই প্রশ্নই করেছেন তিনি।