— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মহিলারা আর্থিক ভাবে ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে উন্নয়নে শামিল না হলে দেশের উন্নতি সম্পূর্ণ হবে না বলে মন্তব্য করলেন বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ। শনিবার এবিপি নেটওয়ার্কের সম্মেলনে তাঁর বক্তব্য, ভারতের প্রত্যেক মহিলার মধ্যে উদ্যোগপতি হওয়ার গুণ রয়েছে।
এ দিন সম্মেলনের অন্যতম বিষয় ছিল ক্ষুদ্রঋণ এবং ব্যাঙ্কিং। সেখানে বক্তৃতায় চন্দ্রশেখরবাবু জানান, আর্থিক ভাবে নিচুতলার মানুষের পক্ষে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। ফলে ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণই তাঁদের একমাত্র ভরসা। এই ঋণ যে শুধু তাঁদের আর্থিক হাল ফেরাচ্ছে তা-ই নয়, ক্ষুদ্র ব্যবসায় তৈরি করছে কর্মসংস্থান। তিনি উদাহরণ দেন, তাঁদের থেকে ঋণ নিয়ে কারখানা তৈরি করে এক মহিলা ২০ জনকে চাকরি দিয়েছেন, এমন নজিরও আছে। এ দিনের কর্মসূচিতেই এমন দুই গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন যাঁরা ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা বন্ধন এবং পরবর্তী কালে বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে উদ্যোগপতি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে মুম্বইয়ের চেম্বুরের এক মহিলা বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে চামড়ার ওয়ালেটের কারখানা তৈরি করেছিলেন। ১০ বছরের মধ্যে নিজের মাসিক আয় ৬৬০ টাকা থেকে ৩৫,০০০ টাকায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁদের সংস্থা পরিচালিত ‘সরাসরি সহযোগিতা’ কর্মসূচিতে ১.৫ লক্ষ মহিলাকে দারিদ্রসীমার বাইরে নিয়ে এসে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করা সম্ভব হয়েছে বলে চন্দ্রশেখরবাবু জানান।
চন্দ্রশেখরবাবু জানান, আর্থিক প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ বিরাট। কিন্তু এখনও বিশেষত প্রবীণেরা ডিজিটাল ব্যবস্থায় পরিষেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন ভরসা পান না। তিনি আরও জানান, সারা দেশে ৬৫০০টি শাখার মাধ্যমে বন্ধন ব্যাঙ্ক ৩.২৬ কোটি গ্রাহককে পরিষেবা দিচ্ছে। তাঁদের মধ্যে দু’কোটিই মহিলা।