এই প্রতারণাকাণ্ডের মামলায় আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও এবং এমডি চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। ছবি: সংগৃহীত।
৩,২৫০ কোটির ঋণ প্রতারণাকাণ্ডে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইএ তথা এমডি চন্দা কোছরকে গ্রেফতার করল সিবিআই। শুক্রবার চন্দার পাশাপাশি তাঁর স্বামী দীপক কোছরকেও গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। যদিও দীপককে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
অভিযোগ, ৪ বছর আগে বেণুগোপাল ধুতের ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ বেআইনি ভাবে ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন চন্দা ও তাঁর স্বামী। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলার জল গড়ায়।
৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দা। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে বিপুল অর্থ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে সিইএ এবং এমডি পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করেছিল ওই ব্যাঙ্কটি।
সিবিআইয়ের দাবি ছিল, ২০১২ সালে ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে ৩,২৫০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিতে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নিয়মনীতি ভেঙেছিলেন চন্দা। অভিযোগ, গোটা প্রতারণাকাণ্ডে লাভবান হয়েছিলেন চন্দার স্বামী দীপক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যদিও পরে ওই ঋণ বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। এই মামলায় চন্দার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। পাশাপাশি, এই লেনদেনে সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে চন্দা, দীপক-সহ বেণুগোপালের বিরুদ্ধে কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করে ইডি।
এই মামলার চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, চন্দার প্রতিষ্ঠিত ‘নুপাওয়ার রিনিউয়েবলস’ নামে একটি সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন ভিডিয়োকনের প্রাক্তন কর্ণধার বেণুগোপাল। ওই বিনিয়োগের কয়েক মাস পরেই ৩,২৫০ কোটির ব্যাঙ্কঋণ পেয়েছিলেন ভিডিয়োকন গোষ্ঠী। যে ঋণ পাশ করিয়েছিল চন্দার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি। সিবিআইয়ের আরও দাবি, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন চন্দা।