প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের জন্য সিইএসসি এলাকায় মিটার রিডিং নেওয়া বন্ধ। ফলে মার্চের বিদ্যুৎ বিল পাওয়া ও মেটানো নিয়ে গ্রাহকদের মনে দানা বেঁধেছে উদ্বেগ। এই অবস্থায় সিইএসসি-র দাবি, মার্চে অধিকাংশ গ্রাহকই ‘প্রভিশনাল বিল’ পাবেন। যা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিশেষ নিয়মে তৈরি হওয়া বিদ্যুতের বিল। চাইলে অনলাইনে ওই বিল মেটাতে পারবেন গ্রাহকেরা। যাঁরা তা পারবেন না, স্পেনসার্সে গিয়ে ড্রপ বক্সে বিলের চেক জমা দিতে পারবেন।
সিইএসসি জানিয়েছে, দু’ভাবে এই প্রভিশনাল বিল তৈরি হবে। গত বছর মার্চে গ্রাহকের মিটার রিডিং নেওয়া থাকলে, ওই মাসে কত ইউনিট খরচ হয়েছিল তা দেখে এ বছর মার্চের প্রভিশনাল বিল তৈরি হবে। আর রিডিং না নেওয়া থাকলে, গত ছ’মাসে কত ইউনিট করে বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে, তার গড় করেও তৈরি হতে পারে ওই বিল। এই দু’ভাবেই তা করার নিয়ম।
সংস্থার দাবি, যে সব গ্রাহকের বিল তৈরি হয়ে গিয়েছে, সিইএসসি-র তরফে তাঁদের মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের বিলের টাকা প্রতি মাসে সরাসরি ব্যাঙ্ক থেকে কেটে (ইসিএস) নেওয়া হয়, তাঁরাও বিল সম্পর্কে নির্দিষ্ট এসএমএস পাবেন। যাঁরা এখনও এসএমএস পাননি, তাঁদের বিল তৈরির পদ্ধতিগত কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: মাস্কের জোরেই নতুন বছরে ফেরার লড়াই ওঁদেরও
সংস্থার এক কর্তার দাবি, লকডাউন উঠলে ফের যখন মিটার রিডিং নেওয়া হবে, তখন মোট যত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ দেখাবে, তার থেকে আগের ওই প্রভিশনাল বিলের ইউনিট বাদ দেওয়া হবে। ফলে গ্রাহকের উঁচু মাসুলের ‘স্ল্যাবে’ যাওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না। তিনি জানান, বাদ দেওয়ার পরে যত ইউনিট বাকি থাকবে এপ্রিলের বিল বাবদ তার দাম দিতে হবে গ্রাহককে।
আরও পড়ুন: তথ্য সুরক্ষার আশ্বাস গুগল, অ্যাপলের
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)