Yashwant Sinha

দেউলিয়ার মুখে কেন্দ্র, তোপ সিন্‌হার

অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রকে ফের তোপ দেগেছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইনদওর, পটনা ও আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০২:১৪
Share:

যশবন্ত সিনহা। ফাইল চিত্র।

আর্থিক বৃদ্ধি ছ’বছরের তলানিতে। বাজারে চাহিদা নেই। লগ্নিতে এগিয়ে আসছে না সংস্থাগুলি। এই পরিস্থিতিতে এ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী স্বীকার করলেন, ভারতের অর্থনীতিকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া কঠিন। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ওই লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব নয়। আজই অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রকে ফের তোপ দেগেছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা। সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রককে অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে ব্যয় কমাতে বলেছে কেন্দ্র। সে কথা তুলে তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই বলছেন, বৃদ্ধিতে গতি আনতে কেন্দ্রকে ব্যয় বাড়াতে হবে। কিন্তু মোদী সরকার খরচ ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। রাজকোষের সব টাকাই খরচ হয়ে গিয়েছে। সরকার এখন ‘দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে’।’’

Advertisement

খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে বিজেপির বহু শীর্ষ নেতা পাঁচ বছরে পাঁচ লক্ষ কোটির ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন ফেরি করছেন। গডকড়ীর মতে, ওই লক্ষ্য ছুঁতে হলে আমদানির কমিয়ে দেশে পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। মন্ত্রীর মতে, ভারতে লগ্নি বা প্রযুক্তির অভাব নেই, কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোকের অভাব দেখা যাচ্ছে। তাঁর দাবি, ভারত এখনও দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ। কিন্তু কখনও বিশ্ব অর্থনীতির জেরে, আবার কখনও চাহিদা ও জোগানে অসামঞ্জস্যের কারণে ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়।

সিন্‌হা আজ সরাসরি সেই চাহিদার অভাবের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁর মতে, এর আগেও বহুবার তা ধাক্কা খেলেও, এ বার চাহিদা প্রায় ‘মৃত’।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কথায়, বেসরকারি লগ্নি প্রায় শূন্য। ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বেড়েছে। প্রথমে গ্রামে চাহিদায় যে ধাক্কা লেগেছিল, নোটবন্দির পরে তা ছড়িয়ে পড়েছে শহরেও। তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্র শুরুতে অর্থনীতির বেহাল দশা মানতে চায়নি। পরিসংখ্যানে কারচুপি করে দেখাতে চেয়েছে সব কিছু ঠিক রয়েছে। কিন্তু সারাজীবন তথ্যে কারসাজি সম্ভব নয়। ফলে এখন তারা শ্লথ গতি মানতে বাধ্য হয়েছে ও দাবি করছে ব্যবস্থা নেওয়ার।’’ এ দিন অর্থনীতির বেহাল দশা, বেকারত্ব, টাকার দরে পতন নিয়ে তোপ দাগেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাও। প্রশ্ন তোলেন এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে পাঁচ লক্ষ কোটির অর্থনীতিতে পরিণত হওয়া যাবে তা নিয়ে।

Advertisement

সিন্‌হার অভিযোগ, অর্থনীতির এই অবস্থায় কেন্দ্র সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির মতো বিষয় সামনে এনে অর্থনীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে। তাঁর মতে, আগে সাধারণত অর্থমন্ত্রীরাই বাজেটের আগে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠক করতেন। কখনও দেখা যায়নি খোদ প্রধানমন্ত্রী ১৩টি প্রাক্‌-বাজেট বৈঠক করছেন। বর্তমান অবস্থায় আসন্ন বাজেট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলেও দাবি তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement