—প্রতীকী চিত্র।
এমটিএনএলের কাঁধে বিপুল ঋণের বোঝা। আগামী ২০ জুলাই বকেয়া হতে চলা একটি ঋণপত্রের সুদ যে তারা মেটাতে পারবে না, তা শেয়ার বাজারকে জানিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি। এই অবস্থায় আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের সঙ্গে তাদের সংযুক্তিকরণের চিন্তাভাবনা থেকে পিছিয়ে আসছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, তার বদলে এমটিএনএলের পরিচালন ব্যবস্থা বিএসএনএলের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামী এক মাসের মধ্যে।
এমটিএনএল দিল্লি এবং মুম্বইতে পরিষেবা দেয়। বিএসএনএল দেয় দেশের বাকি অংশে। বিপুল ঋণের পাশাপাশি গত এক বছরে এমটিএনএলের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে। অন্য দিকে, বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি ৫জি স্পেকট্রাম নির্ভর পরিষেবা দিলেও বিএসএনএলের ৪জি সবে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলি মাসুল বাড়ানোর পরে অবশ্য কোনও কোনও জায়গায় সংস্থাটির গ্রাহক বাড়ছে। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় এমটিএনএলের আর্থিক দায় চাপিয়ে বিএসএনএলকে আর বেকায়দায় ফেলতে চাইছে না সরকার। বরং চুক্তির মাধ্যমে এমটিএনএলের পরিচালন ভার তাদের দেওয়া হতে পারে। টেলিকম দফতর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তা নিয়ে সচিবদের কমিটিতে আলোচনা হবে। তার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
এ দিকে, বিএসএনএলের সিএমডি পদে পি কে পুরওয়ারের কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে কেন্দ্র সেই মেয়াদ আর বাড়াচ্ছে না। টেলিকম দফতরের (ডট) অফিসার রবার্ট জে রবির হাতে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে যেতে চলেছে ওই পদ।