প্রতীকী ছবি।
এত দিন বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ঋণে সুদ বেড়েছে। অক্টোবরের গোড়ায় সামান্য হলেও, কয়েকটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বাড়াল সরকার। যার অপেক্ষায় হা-পিত্যেশ করে বসেছিলেন সাধারণ মানুষ। তার পরেই আমানতে সুদ বাড়ানোর ব্যাপারে নড়ে বসেছে ব্যাঙ্কিং মহল। ব্যবসার উন্নতির জন্য বাজারে ঋণের চাহিদা বাড়ায় ব্যাঙ্কগুলির আরও বেশি টাকার দরকার। তাই আমানতে একটু বেশি হারে সুদ দিতে শুরু করেছে তাদের অনেকে। স্টেট ব্যাঙ্ক জমায় সর্বাধিক ৬.৯% দিচ্ছে। সর্বোচ্চ ৭% পিএনবি। ৭.৫% পর্যন্ত সুদ ঘোষণা করেছে কয়েকটি নতুন প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাঙ্ক। আকর্ষণীয় হারে সেই হার বাড়িয়েছে কিছু গৃহঋণ সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি)। যাদের ক্রেডিট রেটিং উঁচু, তারা আমানত হিসাবে মোটা টাকা সংগ্রহ করছে এই বাজারে। ক্রেডিট রেটিং উঁচু মানে, টাকা রাখার ঝুঁকি কম।
এখনও পর্যন্ত আরবিআই রেপো রেট (যে সুদে ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয় তারা) বাড়িয়েছে মোট ১৯০ বেসিস পয়েন্ট। মূল্যবৃদ্ধির হার ফের মাথা তোলায় ডিসেম্বরে তা আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ঋণের পাশাপাশি আমানতেও ফের সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
এ দিকে, হিন্দু ক্যালেন্ডার ২০৭৯ সম্বৎ শুরু হচ্ছে আজ। সন্ধ্যায় শেয়ার বাজারে চলবে বিশেষ লেনদেন পর্ব, মুরত ট্রেডিং। ২০৭৮-এ নানা ঝড়-ঝাপ্টা সামলেও সেনসেক্স নিজের জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে। সম্বৎ ২০৭৭ বন্ধ হয়েছিল ৫৯,৭৭২ অঙ্কে। শুক্রবার ২০৭৮-ও বন্ধ হল ৫৯,৩৬১-এ। লোকসান মাত্র ৪১১ পয়েন্ট।
গত এক বছরে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়েছে। করোনা কাটিয়ে শিল্প-বাণিজ্য যখন স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিঘ্নিত হয় বহু পণ্যের সরবরাহ। অস্বাভাবিক চড়া হয় মূল্যবৃদ্ধির হার। পরিস্থিতি সামলাতে সুদ বাড়াতে শুরু করে প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ফলে ধাক্কা খায় আর্থিক বৃদ্ধি। ভারতে শেয়ার বেচতে থাকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। টাকাকে নীচে নামিয়ে চড়তে থাকে ডলারের দাম। তবে এত সমস্যা মাথায় নিয়েও মুখ থুবড়ে পড়েনি বাজার।
গত ১৫ দিনে জুলাই-সেপ্টেম্বরের আর্থিক ফল বেরিয়েছে বেশ কিছু সংস্থার। তবে বিশেষ নজর কেড়েছে ব্যাঙ্ক। ঋণের চাহিদা বৃদ্ধি, সুদ থেকে আয় বৃদ্ধি, অনুৎপাদক সম্পদ হ্রাসের ফলে নিট লাভ বেড়েছে প্রায় সকলের।
(মতামত ব্যক্তিগত)