দামে লাগাম পরাতেই জানুয়ারি থেকে খোলা বাজারে গম ছাড়তে শুরু করবে খাদ্য নিগম। প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়েগম এবং আটার বাড়তে থাকা দাম চিন্তায় ফেলেছে মোদী সরকারকে। এতটাই যে, তাতে লাগাম পরাতে তাই নতুন বছরে সরকারি গুদাম থেকে খোলা বাজারে সস্তায় গম ছাড়াহবে। চলতি বা আগামী সপ্তাহেইএ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেখবর সরকারি সূত্রের।
কেন্দ্রের চিন্তার কারণ, দেশে ডিসেম্বরের গোড়ায় খুচরো বাজারে গমের দাম পৌঁছেছে কেজি প্রতি ২৮ টাকায়। আটার কেজি হয়েছে ৩৫ টাকা। যা তিন মাস আগের তুলনায় ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি। গত জানুয়ারিতে গমের পাইকারি দর ছিল কুইন্টাল পিছু ২২২৮ টাকা। নভেম্বরে ওঠে ২৭২১ টাকায়। যার অর্থ, ১১ মাসে দাম বেড়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির হার প্রায় ২২%।
সরকারি সূত্রের খবর, দামে লাগাম পরাতেই জানুয়ারি থেকে খোলা বাজারে গম ছাড়তে শুরু করবে খাদ্য নিগম। মার্চের মধ্যে ছাড়া হবে প্রায় ২০ লক্ষ টন। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রক, খাদ্য মন্ত্রক ও কৃষি মন্ত্রকের সচিব স্তরের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রের আশা, এর পরেই গম ও আটার পাইকারি দাম কুইন্টালে অন্তত ২০০ টাকা কমবে।
এমনিতেই এ বার চাষিদের থেকে অনেক কম পরিমাণে গম কেনা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্ব বাজারেও তার চাহিদা বাড়ে। দেশে জোগান বহাল রাখতে রফতানিতে লাগাম টানে কেন্দ্র। গত মে-র পরে সরকারের তরফেও খোলা বাজারে গম ছাড়া হয়নি।
সূত্রের ব্যাখ্যা, এতদিন মূল সমস্যা ছিল সরকারি গুদামে মজুত কমে যাওয়া। ডিসেম্বরের গোড়ায় খাদ্য নিগমের গুদামে গম ছিল ১৮৩ লক্ষ টন। এক বছর আগের ৩৭৮ টন মজুতের থেকে যা অনেকটাই কম। তবে সূত্রের বক্তব্য, ন্যূনতম যতখানি থাকা দরকার, তার তুলনায় মজুত বেশিই ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় বিনামূল্যে অতিরিক্ত রেশন দিতে গিয়ে বাড়তি গমের প্রয়োজন পড়ছিল।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বরের পরে আর বাড়ানো হবে না। আজ কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের অধিকর্তা বিবেক শুক্ল সমস্ত রাজ্যের খাদ্যসচিবদের চিঠি লিখেসেই কথাই জানিয়েছেন। বলেছেন, প্রকল্পে বরাদ্দ খাদ্যশস্য রাজ্যগুলি যেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গুদামথেকে তুলে নেয়। প্রকল্পটির মেয়াদ না-বাড়ায় সরকারি গুদামে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টন গম বাঁচবে বলে আশা। সেটাই খোলা বাজারে কুইন্টাল প্রতি ২২৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে।