নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র
অর্থনীতি শ্লথ। যার জেরে চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রত্যাশা ছোঁয়নি জিএসটি আদায়। ইতিমধ্যেই রাজস্বে ধাক্কার কথা মেনে নিয়েছে মোদী সরকার। এই অবস্থায় ২০১৯-২০ সালের শেষ চার মাসে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা করে জিএসটি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল কেন্দ্র। বলা হয়েছে প্রত্যক্ষ কর আদায়ে লক্ষ্য ছোঁয়ার কথাও। তবে কর আদায় করতে গিয়ে কোনও ভাবেই করদাতাদের হেনস্থা করা চলবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করকর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে। সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁদের বলা হয়েছে যে, ডিসেম্বর থেকে মার্চ— এই চার মাসে জিএসটি আদায়ের ওই লক্ষ্য ছুঁতে হবে। তার মধ্যে অন্তত এক মাসে ১.২৫ লক্ষ কোটি আদায় হতে হবে। সে জন্য তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করকর্তাদের। উল্লেখ্য, বুধবার বৈঠকে বসবে জিএসটি পরিষদ। অনেকের মতে, সেখানে করের হার বাড়ানোর আলোচনা হতে পারে।
চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত মাত্র চার মাস জিএসটি আদায় ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সারা বছরে যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, এ ভাবে চললে থাকলে তার থেকে প্রায় ১ লক্ষ কোটি কম আদায় হবে বলে ধারণা। তার উপরে অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ করের ১৩.৩৫ লক্ষ কোটির লক্ষ্যমাত্রার ৪৫% আদায় হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতে কর্তাদের বলা হয়েছে, কর্পোরেট কর কমানোর জেরে যে ১.৪৫ লক্ষ কোটি কম আদায় হবে, তার কারণে প্রত্যক্ষ করে প্রভাব পড়েছে বলা যাবে না।
প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ, চিফ কমিশনার, প্রিন্সিপাল চিফ কমিশনার এবং জিএসটি কর্তাদের প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন ফিল্ড অফিসে ঘুরে খবর নিতেও বলা হয়েছে। পাণ্ডে নিজেও বিভিন্ন অঞ্চলে কর আদায়ের অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। একই সঙ্গে জিএসটি রিটার্ন ঠিক মতো জমা দেওয়া হচ্ছে কি না, আয়কর জমায় কোনও ভুল থাকছে কি না, সেই সব কিছুই দেখতে বলা হয়েছে কর্তাদের। তবে কোনও ভাবেই এতে করদাতাদের যাতে হেনস্থা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন পাণ্ডে।