—প্রতীকী ছবি।
কোভিডের পরে মহিলাদের কাজে যোগদান কমে যাওয়ার ছবি উঠে এসেছিল বিভিন্ন সমীক্ষায়। সমাজে তার প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন অর্থনীতিবিদেরা। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের দাবি, দেশে মহিলা কর্মীর সংখ্যা কোভিডের আগের তুলনায় বেড়েছে। প্রমাণ হিসেবে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত জবাবে শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি তুলে ধরেছেন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে মহিলা সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিকে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, পিএফের সদস্য বৃদ্ধিতে কর্মসংস্থানের বিষয়টি কতটা প্রতিফলিত হয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
রাজ্যসভায় তেলি লিখিত জবাবে বলেছেন, গত অর্থবর্ষে প্রায় ২৮.৬৯ লক্ষ মহিলা কর্মী পিএফের নতুন সদস্য হয়েছেন। ২০১৯-২০-এ ছিলেন প্রায় ১৫.৯৩ লক্ষ। এতেই স্পষ্ট কর্মসংস্থান কী ভাবে বেড়েছে। সময় ভিত্তিক কর্মী সমীক্ষার (পিরিয়ডিক লেবর ফোর্স সার্ভে) উল্লেখ করে তেলি জানান, ১৫ বছর এবং তার বেশি বয়সের মহিলা বেকার ২০১৯-২০ সালে ছিল ৪.২%। গত অর্থবর্ষে কমে হয়েছে ২.৯%।
তবে পিএফের অছি পরিষদের কর্মী প্রতিনিধি সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্যের দাবি, কমপক্ষে ২০ জন কর্মী থাকলে সংস্থা পিএফে নথিবদ্ধ হতে পারে। নথিবদ্ধ হলেই তাঁরা পিএফের সদস্য হন। এমন বহু সংস্থা আছে যেখানে আগেই ১৮-১৯ জন ছিলেন। তাঁদের সংখ্যা ২০ হতেই সেটি পিএফের আওতায় এল। নতুন ২০ জন সদস্য হলেন। কিন্তু কর্মসংস্থান হল এক বা দুই। তা ছাড়া, অসংগঠিত থেকে সংগঠিত ক্ষেত্রের কাজে যোগ দিয়েও অনেকে পিএফ সদস্য হন। একেও নতুন কর্মসংস্থান বলা যায় না।