—প্রতীকী চিত্র।
গত পাঁচটি অর্থবর্ষে দেশের নথিভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি মোট ১০.৫৭ লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ি ঋণ হিসাবের খাতা থেকে মুছেছে বলে সংসদে জানাল কেন্দ্র। এর মধ্যে ৫.৫২ লক্ষ কোটি টাকাই বড় শিল্প সংস্থার।
আজ রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড জানান, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে থেকে মোট ১০.৫৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মুছেছে ব্যাঙ্কগুলি। এর মধ্যে ৯৩,৮৭৪ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্র অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছে, ব্যাঙ্ক হিসাবের খাতা পরিষ্কার করে পুঁজিকে শক্তিশালী করার জন্য। অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) খাতে যে অর্থ সংস্থান করতে হয়, তা আর আটকে থাকে না। ঋণ দেওয়া যায় অন্য সংস্থাকে। আর ঋণ মোছার অর্থ ঋণ মাফ করা নয়। আজও সংসদে একই কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। যদিও মুছে দেওয়া সেই ঋণ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সাফল্য উল্লেখযোগ্য কিছু নয় বলেই দাবি বিরোধী-সহ বিভিন্ন মহলের।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) ১৫,১৮৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার বড় অংশই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইডি। ২০২২-২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ১.১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে অনলাইন গেমিং সংস্থাগুলিকে মোট ৭১টি নোটিস পাঠানো হয়েছে।