প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দেশ জোড়া প্রবল চাপের মধ্যে স্থাবর সম্পদে দীর্ঘমেয়াদি লাভকরের হিসাব নিয়ে বাজেট প্রস্তাব থেকে পিছু হটছে মোদী সরকার। মঙ্গলবার লোকসভায় অর্থবিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই আনা হয়েছে এ সংক্রান্ত সংশোধনীর প্রস্তাব। বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট-বাড়ি-জমির মতো স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া মুনাফায় দীর্ঘমেয়াদি লাভকরের হিসাব কষার জন্য পুরনো নিয়ম এবং এ বার বাজেটে আনা নতুন নিয়ম— এই দুই বিকল্পই বহাল থাকবে। এর মধ্যে যেটিতে কম কর দিতে হবে, সেটি বাছে নিতে পারবেন করদাতা। তবে সেই সুবিধা মিলবে ২৩ জুলাই, ২০২৪-এর (বাজেট পেশের দিন) আগে কেনা সম্পত্তির ক্ষেত্রেই। এই সংশোধনী প্রস্তাব সামনে আসার পরেই নির্মলাকে ‘রোল ব্যাক ফিনান্স মিনিস্টার’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী
শিবিরের একাংশ।
বাজেটের ঘোষণা অনুসারে, জমি-বাড়ি দু’বছরের বেশি ধরে রাখার পরে বিক্রি করে লাভ করে তাতে দীর্ঘমেয়াদি লাভকর বসবে। যার হার হবে ১২.৫%। তবে এতে মিলবে না মূল্যবৃদ্ধি সূচক প্রয়োগের (ইন্ডেক্সেশন) সুবিধা। অর্থাৎ, এতে মূল্যবৃদ্ধি বাদ দিয়ে করের হিসাব করা যাবে না। এর আগে এই করে ২০% কর বসত, কিন্তু তাতে ইন্ডেক্সেশনের সুযোগ মিলত।
এই ঘোষণার পরেই এতে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হবে বলে আপত্তি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। আবাসন শিল্পও এতে ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রিতে ধাক্কা লাগবে বলে দাবি করে। অনেকে অঙ্ক কষেও দেখান যে, ইন্ডেক্সেশন না থাকায় সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া লাভে আগের থেকে বেশি কর গুনতে হবে। এর পরেই এই সিদ্ধান্ত ফেরানোর দাবি ওঠে।
সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাজেটের দিনের আগে কেনা সম্পদে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ধরে রাখার পরে বিক্রি করে মুনাফা হলে করদাতা (ব্যক্তি বা হিন্দু অবিভক্ত পরিবার) চাইলে আগের ব্যবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি সূচক প্রয়োগ করে ২০% হারে দীর্ঘমেয়াদি লাভকর দিতে পারবেন। অথবা সেই সুযোগ না নিয়ে ১২.৫% হারে কর দিতে পারেন। যেটাতে কর কম হবে, সেটাই বেছে নেওয়ার সুবিধা মিলবে।