প্রতীকী ছবি।
বস্ত্র শিল্পের জন্য যেমন বুধবার উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প (পিএলআই) আনল কেন্দ্র, তেমনই এর আগে তা ঘোষণা হয়েছিল গাড়ি সংস্থাগুলির জন্যও। দীর্ঘ দিন ধরে বিক্রি কমায় বেহাল যারা। কিন্তু সূত্রের খবর, আচমকাই গাড়ি শিল্পের পিএলআই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ খরচ প্রায় অর্ধেক ছাঁটছে মোদী সরকার। ইঙ্গিত, আগামী সপ্তাহে সেই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সায় দিতে পারে।
দেশে আরও বেশি করে গাড়ি এবং তার যন্ত্রাংশ তৈরিতে জোর দেওয়ার কথা বলেই ওই আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। দাবি করেছিল, এর হাত ধরে অতিমারির ধাক্কাও কাটবে। সংস্থাগুলিকে সেই আর্থিক সুবিধা দিতে পাঁচ বছরে ৫৭,০৪৩ কোটি টাকা খরচ বরাদ্দ করেছিল তারা। কিন্তু সূত্রটির দাবি, ওই অঙ্ক এক ধাক্কায় প্রায় ২৬,০০০ কোটি টাকা কমিয়ে দিচ্ছে সরকার। ফলে গাড়ি শিল্পের সংশোধিত উৎসাহ প্রকল্পের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৫,৯৩৮ কোটি টাকা। আচমকা এই সিদ্ধান্তের কারণ জানায়নি সূত্রটি। তবে বলেছে, সরকার এখন অনেক বেশি নজর দিতে চায় বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত এবং হাইড্রোজেন জ্বালানির গাড়িতে।
১৩টি ক্ষেত্রের জন্য উৎসাহ প্রকল্প এনে বাজেটে মোট ১.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, তার কিছুটা পেয়ে উপকৃত হয় গাড়ি শিল্প। দ্রুত ছন্দে ফেরার আশাও তৈরি হয়। যে বার্তা বার বার দিচ্ছিল সরকারও। গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম বলে, এতে এই শিল্পের বিশ্ব জুড়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়বে। বৃদ্ধির পরের ধাপে পৌঁছোতে সুবিধা হবে। সরকারি সাহায্যে ভর করে দেশে যন্ত্রাংশ তৈরি বাড়লে গাড়ি তৈরির খরচও কমবে। কিন্তু হঠাৎ সরকারের লক্ষ্য বদল আগামী দিনে গাড়ি শিল্পকে কতটা সমস্যায় ফেলবে, এ দিনই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, অর্থনীতির ঝিমুনি এবং করোনার দুই ঢেউ সয়ে এখনও উঠে দাঁড়াতে পারেনি গাড়ি শিল্প। চড়া তেলের দাম এবং সেমিকন্ডাকটরের মতো যন্ত্রাংশের অভাব পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক করেছে। এর মধ্যে সরকারি উৎসাহ প্রকল্প কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছিল একাংশকে। কিন্তু হঠাৎ সরকারের পথ পরিবর্তন তাদের অসুবিধায় ফেলতে পারে। বিশেষত চাহিদা না-ফেরায় ব্যবসা যেহেতু স্বাভাবিক হয়নি।