প্রতীকী ছবি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই চলতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত (১ এপ্রিল-১৫ জুন) রিফান্ডের পরে নিট হিসেবে ১,৮৫,৮৭১ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ কর জমা পড়েছে কেন্দ্রের ঘরে। যা গত বছরের এই সময়ের ৯২,৭৬২ কোটি আদায়ের দ্বিগুণ। আয়কর দফতরের হিসেব অনুসারে, এর মধ্যে ৭৪,৩৫৬ কোটি হল কর্পোরেট কর। আর সিকিউরিটি ট্রান্জ্যাকশন ট্যাক্স মিলিয়ে ব্যক্তিগত আয়কর আদায় হয়েছে ১.১১ লক্ষ কোটি টাকা।
গত বছর মার্চের শেষ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন চলায় ধাক্কা খেয়েছিল আর্থিক কর্মকাণ্ড। ফলে প্রভাব পড়েছিল ২০২০-২১ অর্থবর্ষের কর আদায়ে। শেষ পর্যন্ত আয়করদাতাদের সুরাহায় ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্প আনা এবং তার মেয়াদ একাধিকবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল কেন্দ্র। এ বারও করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় রাজ্যে রাজ্যে স্থানীয় লকডাউন জারি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল হলেও বহু রাজ্যে তা এখনও বহাল। এর মধ্যেও ভাল কর আদায় হওয়ার কারণ মূলত ব্যক্তিগত আয়কর এবং আগাম কর জমা বৃদ্ধি বলে বুধবার জানিয়েছে
আয়কর দফতর।
তাদের হিসেব বলছে, ১ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মোট প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে ২.১৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যার মধ্যে ৩০,৭৩১ কোটি গিয়েছে রিফান্ড দিতে। বাদবাকি অঙ্কের মধ্যে ২৮,৭৮০ কোটি টাকার আগাম কর জমা পড়েছে কেন্দ্রের ঘরে। গত বছরের চেয়ে যা ১৪৬% বেশি। এ ছাড়া, উৎসে কর কাটা হয়েছে ১,৫৬,৮২৪ কোটি এবং ব্যক্তিগত হিসেবের (সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট) পরে ১৫,৩৪৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন করদাতারা। আর নিয়মিত হিসেব মতো কেন্দ্র পেয়েছে ১৪,০৭৯ কোটি টাকা।