প্রতীকী ছবি।
আসন্ন বাজেটে নতুন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে সরকার আর পুঁজি ঢালবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, অনুৎপাদক সম্পদ কমার হাত ধরে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। তাই মূলধন জোগানোর পথ থেকে সরে আসতে পারে অর্থ মন্ত্রক। বরং তাদের উৎসাহ দেওয়া হবে বাজার থেকে টাকা তোলায়। সঙ্গে মূল সম্পদের বাইরে বাদবাকি সম্পদ বিক্রির কথাও বলা হবে তাদের। গত বাজেটে চলতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কগুলিতে ২০,০০০ কোটি টাকার পুঁজি বরাদ্দ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
হিসাব বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মুনাফা হয়েছিল ১৪,০১২ কোটি টাকা। পরের ত্রৈমাসিকে হয় ১৭,১৩২ কোটি। সব মিলিয়ে যা গত অর্থবর্ষের পুরোটা জুড়ে হওয়া মুনাফার প্রায় সমান। পাশাপাশি, ২০২০-২১ সালে বাজার থেকে ৫৮,৬৯৭ কোটি তারা তুলেছে। যা কোনও একটি অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ। অনুৎপাদক সম্পদও সে সময়ে নেমেছে ৬,১৬,৬১৬ কোটিতে।
তার উপরে জুনের শেষে ঋণের অনুপাতে ব্যাঙ্কগুলির মূলধন পৌঁছেছে ১৪.৩ শতাংশে। আর্থিক সংস্থান হয়েছে ৮৪%। যা আট বছরে সর্বোচ্চ। সূত্রের খবর, কিছু অনুৎপাদক সম্পদের ক্ষেত্রে ১০০% অর্থের সংস্থান করেছে ব্যাঙ্কগুলি। ফলে সেখান থেকে কোনও অর্থ উদ্ধার হলেই তা তাদের হিসাবের খাতায় সরাসরি যোগ হবে। এ ছাড়াও, তাদের আরও বেশি করে বকেয়া উদ্ধারে জোর দিতেও বলা হয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে পুঁজি জোগানো না-ও হতে পারে বলে ধারণা।