Export

রফতানি প্রকল্পের সুবিধা ছাঁটাই

এমএসএমই-গুলি রফতানির জন্য যে ঋণ নেয়, এই প্রকল্পে তাতে সুদে ৩% ছাড় পায় তারা। এত দিন টাকার অঙ্কে সেই ছাড় যত বেশিই হোক না কেন, তা মেটাতে হত না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি রফতানিকারী সংস্থাগুলির (এমএসএমই) পাশে দাঁড়াতে ইন্টারেস্ট ইকুইলাইজ়েশন স্কিম (আইইএস) চালু করেছিল কেন্দ্র। ওই প্রকল্পের আওতায় কম সুদে রফতানি ঋণের সুবিধা পায় তারা। এত দিন সুদ ছাড় বাবদ প্রাপ্ত টাকার অঙ্কের ঊর্ধ্বসীমা ছিল না। কিন্তু এ বার সেই সর্বোচ্চ সীমা ২.৫ কোটি টাকায় বেঁধে দিল সরকার। এর ফলে ছোট শিল্পের মধ্যে যে সব রফতানিকারী তুলনায় বড়, তাদের অসুবিধা হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Advertisement

এমএসএমই-গুলি রফতানির জন্য যে ঋণ নেয়, এই প্রকল্পে তাতে সুদে ৩% ছাড় পায় তারা। এত দিন টাকার অঙ্কে সেই ছাড় যত বেশিই হোক না কেন, তা মেটাতে হত না। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিরেক্টর জেনারাল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ বার সুদ বাবদ সর্বোচ্চ ২.৫ কোটি টাকা ছাড় মিলবে। পরের অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। সেই সঙ্গে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে ডিজিএফটি বলেছে, আইইএস প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো-র পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান যোগেশ গুপ্ত বলেন, “নতুন ব্যবস্থার বিরূপ প্রভাব ছোট এমএসএমইগুলির উপরে তেমন পড়বে না। কিন্তু বড় সংস্থাগুলির রফতানি খরচ বেড়ে যাবে।’’ তবে তাঁর মতে, প্রকল্পের সুবিধা শুধু ছোট শিল্পই পায়। রফতানি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই সব শ্রেণির এমএসএমইর ক্ষেত্রেই সমান সুবিধা বজায় রাখা উচিত। সেই কারণে সুদ ছাড়ের উর্ধ্বসীমা না বসালেই ভাল হতে বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement