গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিরোধীরা। শনিবার কংগ্রেসের প্রশ্ন, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ার দর মুখ থুবড়ে পড়ায় এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠান ৭৮,০০০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার মূল্য খোয়ালেও অর্থমন্ত্রী নীরব কেন? কেনই বা মুখে কুলুপতদন্তকারী সংস্থাগুলির।
সেই সঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, হিন্ডেনবার্গ আদানিদের সম্পর্কে এত গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আনার পরেও এলআইসি এবং এসবিআই ওই সংস্থাগুলিতে লগ্নি বহাল রেখেছে কেন?
বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলেন, হিন্ডেনবার্গের নেতিবাচক রিপোর্টে ধাক্কা খাচ্ছে শেয়ার বাজার। জড়িয়ে গিয়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষের অতি কষ্টে আয় করা টাকা। অথচ সরকার চুপ। অবিলম্বে সরকারি বিবৃতি জারি করে বিষয়টির ব্যাখ্যা দাবি করেছেন তিনি।
এ দিন সুরজেওয়ালার দাবি, অভিযোগ ওঠার পরে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে জীবন বিমা সংস্থাটির লগ্নি মূল্য ৭৭,০০০ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫৩,০০০ কোটি। এই অভিঘাতে নিজেদের শেয়ারের দাম কমার কারণেও ২২,৪৪২ কোটি টাকা হারিয়েছে তারা। তবু এলআইসি আদানিদের সংস্থায় আরও ৩০০ কোটি ঢালছে কেন! ওই গোষ্ঠীকে ৮১,২০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ায় স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কও ঝুঁকির মুখে। ফলে স্টেট ব্যাঙ্কের শেয়ার মূল্য ৫৪,৬১৮ কোটি টাকা কমেছে। তার পরেও আদানিদের সংস্থায় ফের ২২৫ কোটি টাকা লগ্নি করছে এসবিআই এমপ্লয়িজ় পেনশন ফান্ড এবং এসবিআই লাইফ। এর কারণ কী? তাঁর দাবি, এই টাকা তো সাধারণ মানুষের।