প্রতীকী ছবি।
খাদ্যশস্য ও চিনি রাখার জন্য চটের বস্তার বাধ্যতামূলক ব্যবহারের সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র। একই সঙ্গে আখের রস থেকে উৎপাদিত ইথানলের দামও বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই দু’টি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, চটের বস্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাটচাষি এবং চটকল শ্রমিকেরা বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজ্যের ভোটের দিকে তাকিয়েই এই ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের।
এখন আইন অনুযায়ী (জেপিএম আইন, ১৯৮৭) যে কোনও খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে ১০০% ও চিনির ক্ষেত্রে ২০% চটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। চট শিল্প মহলের দাবি, কেন্দ্র অনুমোদন দেওয়ার ফলে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত খাদ্যশস্য ও চিনি রাখার ক্ষেত্রে চটের বস্তা ব্যবহারের এই নিয়ম জারি থাকবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ।
স্মৃতি ইরানি জানান, এ দিনের সিদ্ধান্তের ফলে চট শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৩.৭ লক্ষ শ্রমিক ও ৪০ লক্ষ পাট চাষি উপকৃত হবেন। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের পাট চাষিদের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। জাভড়েকরেও দাবি, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার পাটচাষিরা লাভবান হবেন। উল্লেখ্য, চটের বস্তা কিনতে কেন্দ্র বছরে ৭৫০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে। কাঁচা পাটের মান ও উৎপাদন বাড়াতে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাট উৎপাদক রাজ্যগুলিতে জুট-আইকেয়ার প্রকল্পও চালু করেছে তারা। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে পাট চাষিদের হেক্টর পিছু ১০,০০০ টাকা করে আয়ও বেড়েছে।
অন্য দিকে, ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা মরসুমে প্রতি লিটার ইথানলের দাম ৫৯.৪৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬২.৬৫ টাকা করেছে কেন্দ্র। তাদের দাবি, ধারাবাহিক ভাবে দাম বাড়ানোর ফলে চলতি মরসুমে ইথানলের জোগান বেড়ে ১৯৫ কোটি লিটার হয়েছে। ভবিষ্যতে উৎপাদন আরও বাড়বে। উল্লেখ্য, তেল আমদানি কমাতে পেট্রলে ইথানলের ব্যবহার বাড়ানোর দিকে গত কয়েক বছর ধরেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।