Cash Management Bill

নগদ জোগাড়ে শেষে শর্তের ঋণ

অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৩ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ৩.৮ শতাংশে পৌঁছবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি

রাজকোষে নগদের অভাব মেটাতে দু’মাসে শোধ করার শর্তে বাজার থেকে ঋণ নেওয়া শুরু করল মোদী সরকার। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারের হয়ে কার্যত দু’মাসের মধ্যে শোধ করে দেওয়ার ‘ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিল’ বা স্বল্পমেয়াদি সরকারি বন্ড নিলাম করেছে। এর মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছেড়ে ঋণ জোগাড় হয়েছে।

Advertisement

বাজেটের সপ্তাহ দুয়েক বাকি। অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৩ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ৩.৮ শতাংশে পৌঁছবে। ঘাটতি সামলাতে আরও ধার করতে হচ্ছে সরকারকে। মন্ত্রক সূত্রের ব্যাখ্যা, এ বছর বেশি ধার করায় পরের বছর ঘাটতি আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর আগে সরকারি বন্ড মারফত যে ঋণ নেওয়া হয়েছিল, আগামী অর্থবর্ষে তার প্রায় ৩.০২ লক্ষ কোটি টাকা শোধ করতে হবে। তার সঙ্গে যদি চলতি বছরের ধার শোধ করার বাড়তে বোঝা যোগ হয়, তা হলে পরের বছরের ঘাটতিও বেলাগাম হতে পারে। তাই বাজেটের আগে নগদের অভাব মেটাতে ৬৩ দিনের মধ্যে ধার চোকানোর ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিলের রাস্তা নেওয়া হচ্ছে। যাতে এ বছরের ধার এ বছরেই শোধ হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব বলছে, এই ৩০ হাজার কোটির বন্ড ১৩ মার্চ শোধ করা হবে।

গত ২ জানুয়ারি সরকারি বন্ডে লগ্নিকারীদের সুদ-আসল সমেত ৬১ হাজার কোটি ফেরাতে হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও ৭৪ হাজার কোটি দিতে হবে। এই কারণেই নগদের অভাব মেটাতে ফের ধার করতে হল কেন্দ্রকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement