প্রতীকী ছবি।
টাকা বাঁচাতে মরিয়া মোদী সরকার ফের কাঁচি চালাল বেশ কিছু খরচে। শুক্রবার সব সরকারি মন্ত্রক ও দফতরকে অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশ, এখন আর নতুন কোনও পদ তৈরি করা যাবে না ব্যয় দফতরের অনুমতি ছাড়া। সেই সঙ্গে সমস্ত উপদেষ্টা পদে যাবতীয় নিয়োগ ফের পর্যালোচনা করে দেখতে হবে, কাঁটছাঁট করতে হবে প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের মতো অনুষ্ঠান ও পুরো বন্ধ করে দিতে হবে আমদানি করা কাগজে বই বা পত্রিকা ছাপার কাজও।
ব্যয় দফতরের দাবি, যে সব খরচ জরুরি বলে মনে করছে না তারা, সেগুলিতেই রাশ টানা হচ্ছে। যাতে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বা জরুরি ক্ষেত্রগুলিতে সাহায্য করার মতো যথেষ্ট পুঁজি মজুত থাকে হাতে। বিশেষ করে বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে যেহেতু করোনার ধাক্কায় কেন্দ্রের আয় নেমেছে তলানিতে। ঘাটতি ছুঁয়েছে বাজেট লক্ষ্যমাত্রার ১০৩%। চাপ বাড়ছে রাজকোষের উপরে।
এর আগে অতিথিদের চা- জলখাবার খাওয়ানোর টাকা দেওয়া বন্ধ করেছিল মন্ত্রক। বলেছিল, কেন্দ্রের খরচ বাঁচাতে অফিসারদের নিজের পয়সায় আতিথেয়তা করাই ভাল। দিন দুয়েক আগে খরচ কমানো ও ডিজিটালে জোর দেওয়ার যুক্তিতে সব মন্ত্রক, সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও সংস্থাগুলির ডায়েরি, দেওয়াল ও ডেস্ক ক্যালেন্ডার, গ্রিটিংস কার্ড, এমনকি ছোট বই (কফি টেব্ল বুক) ছাপানোও বন্ধ করেছে তারা। সঙ্গে ব্যয় দফতরের বার্তা, আগামী বছর থেকে এ সব ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে। আনতে হবে ই-বুক।
আজকের নির্দেশে তারা বলেছে, সরকারি কাজের জন্য ন্যূনতম যত জন উপদেষ্টা না-হলেই নয়, তত জনকেই রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, তাঁদের ফি কাজের পরিমাণ ও মানের সঙ্গে সাযুজ্যহীন যেন না-হয়। কোনও মন্ত্রক বা দফতরে কোনও পদ ১ জুলাইয়ের পরে ব্যয় দফতরের সায় ছাড়া তৈরি হয়ে থাকলে এবং এখনও পূরণ না হলে, আর করা যাবে না। যদি নিয়োগ একান্তই জরুরি হয়, আগে ওই অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক।