প্রতীকী চিত্র।
অনলাইনে চিনের পণ্যকে ভারতীয় পণ্য বলে চালানোর কৌশল নিয়েছে যারা, তাদের বিক্রি বন্ধ করতে চাইছে কেন্দ্র। মোদী সরকার আগেই নির্দেশ জারি করেছিল, অনলাইনে কোনও পণ্য বেচতে হলে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে কোন পণ্য কোন দেশে তৈরি তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। সরকারি সূত্রের খবর, সেই নির্দেশ অমান্য করা, ভুয়ো তথ্য দেওয়া বা জাল পণ্য বিক্রি করার জন্য কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ গত এক বছরে নেট বাজারে বিক্রেতাদের ২১৭টি নোটিস পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ৭৬টি সংস্থার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ৪২.৮৫ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে।
ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, ২১৭টি নোটিসের মধ্যে ২০২টি, অর্থাৎ প্রায় সিংহভাগ নোটিসই পাঠানো হয়েছে কোন দেশে পণ্য তৈরি হয়েছে সেই বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য। মন্ত্রকের বক্তব্য, বৈদ্যুতিন পণ্যের ক্ষেত্রেই সব থেকে বেশি বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। ক্রেতার থেকে বিক্রির সর্বোচ্চ দামের (এমআরপি) তুলনায় বেশি টাকা আদায় করা, এমআরপি স্পষ্ট ভাবে না-জানানো এবং ঠিক মাপকাঠি অনুযায়ী তৈরি না-হওয়া পণ্য বিক্রি করার জন্যও নোটিস পাঠানো হয়েছে।
সরকারি মহলের দাবি, এ বার মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঠিক মাপকাঠি মেনে তৈরি না-হওয়া কিংবা জাল পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে জোরদার প্রচার চালানো হবে। প্রাথমিক ভাবে হেলমেট, প্রেশার কুকারের মতো পণ্যকে এ জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের সচিব লীনা নন্দন বলেন, তিনটি ক্ষেত্রেই ঠিক মানের পণ্য তৈরি না হওয়ার ফলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।