Investment

কর ছাঁটার ফল মিলতে দেরি হবে, মানল কেন্দ্র

এক বিবৃতিতে মন্ত্রকের বক্তব্য, কর্পোরেট কর কমানোর সঙ্গে সঙ্গেই লগ্নি আসে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৫:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি

অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই কর্পোরেট কর ছেঁটেছিল মোদী সরকার। দাবি করেছিল, নতুন লগ্নি আসবে। তৈরি হবে কলকারখানা। লগ্নি বাড়াবে পুরনো সংস্থাও। কিন্তু রবিবার অর্থ মন্ত্রক কার্যত মেনে নিল, কর্পোরেট করের কাঠামো বদলে বিনিয়োগ তো বিশেষ বাড়েইনি। উল্টে কর আদায় গিয়েছে কমে।

Advertisement

এক বিবৃতিতে মন্ত্রকের বক্তব্য, কর্পোরেট কর কমানোর সঙ্গে সঙ্গেই লগ্নি আসে না। প্রথমে জমি অধিগ্রহণ, তার পরে দফতর, কারখানার শেড ও অন্যান্য পরিকাঠামো গড়তে হয়। মাত্র ক’মাসে এই কাজ শেষ হওয়ার নয়। মন্ত্রকের দাবি, ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে কর কমানোর ঘোষণা হয়েছিল। তার ফল মিলতে কয়েক মাস, কয়েক বছর লাগবে। এমনকি করোনার জেরে দেরি হতে পারে আরও।

এখানেই শেষ নয়। অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর আদায় আগের বছরের তুলনায় কমে হয়েছে ১২.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে তা ছিল ১২.৯৭ লক্ষ কোটি। দু’দশক পর এমন ঘটনা ঘটল।

Advertisement

অর্থনীতিবিদদের দাবি, এর থেকে স্পষ্ট করোনা সঙ্কটের আগেই অর্থনীতিতে ভাটার টান শুরু হয়েছে। সেই যুক্তি ওড়াতে অর্থ মন্ত্রক অবশ্য বলেছে, কর্পোরেট কর কমানো এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয় করমুক্ত করে দেওয়াতেই কমেছে কর আদায়। না-হলে স্বাভাবিক গতিতে ৮% হারেই তা বাড়ত। পাশাপাশি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা আয়কর ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের (১.৬১ লক্ষ কোটি) তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। তাই কর আদায়ে এই পতন অস্থায়ী।

খাতায়-কলমে এই যুক্তি দিলেও, লকডাউনের জেরে এই অর্থবর্ষে কর আদায় কোথায় ঠেকবে তা নিয়ে মন্ত্রকের কর্তারা চিন্তিত। আবার মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের দাবি, সরকারের বাড়তি ঋণে রাজকোষ ঘাটতি ৫.২% ছুঁতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি-সহ জিডিপি ১০% হারে বাড়বে বলে ধরে নিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement