রাণা কপূর। —ফাইল চিত্র
আর্থিক অনিয়ম এবং পরিচালনায় অব্যবস্থার অভিযোগে রবিরারই ইডি গ্রেফতার করেছিল ইয়েস ব্যাঙ্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সিইও রাণা কপূরকে। ওই দিনই রাণা, ডিএইচএফএল এবং ডু-ইট আরবান ভেঞ্চার্সের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল সিবিআই। সোমবার রাণার স্ত্রী বিন্দু কপূর ও তাঁদের তিন মেয়ে রোশনী, রাখি ও রাধা-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তারা। ওই এফআইআরে ডিএইচএফএল-এর প্রোমোটার কপিল ওয়াধওয়ান, আরকেডব্লিউ ডেভেলপার্সের ডিরেক্টর ধীরজ ওয়াধওয়ানের সঙ্গে মোট পাঁচটি সংস্থার নাম রয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে ও অফিসে সিবিআই আধিকারিকরা আজ তল্লাশিও চালায়। কেউ যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে জন্য প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে লুক আউট সার্কুলার’।
অন্য দিকে আরবিআইয়ের নিয়োগ করা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার আজ টিভি চ্যানেলে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) সঙ্গে ইয়েস ব্যাঙ্কের মিশে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এসবিআইয়ের প্রাক্তন ওই কর্তা ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে এও জানিয়েছেন যে তাঁদের অর্থ সুরক্ষিত রয়েছে। সেই সঙ্গে এ দিন প্রশান্তের ইঙ্গিত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৩ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রাহকদের টাকা তোলার যে উর্ধ্বসীমা (৫০,০০০) বেঁধে দিয়েছে তা শনিবারের মধ্যে তুলে নেওয়া হতে পারে। শুধু তাই নয়, গ্রাহক স্বার্থে খুব শীঘ্রই ব্যাঙ্কের পরিষেবাও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে তিনি মনে করছেন।
কপূর পরিবারকে গৃহ ঋণ সংস্থা ডিএইচএফএলের ৬০০ কোটি ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ সিবিআই আধিকারিকরা সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। সিবিআইয়ের এফআইআর অনুযায়ী, ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে আর্থিক কেলেঙ্কারি শুরু হয় যখন ডিএইচএফএলকে ৩,৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ইয়েস ব্যাঙ্ক। তার পরিবর্তে সংস্থাটি কপূর পরিবারের সংস্থা ডু-ইট আরবান ভেঞ্চার্স-কে ঋণ হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা দেয়। যা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কিসের ভিত্তিতে রাণার পরিবারের সংস্থাকে এই ঋণ দেওয়া হয়েছে তারই উত্তর খুঁজতে শুরু করেছে সিবিআই। রাণার সঙ্গে ডিএইচএফএল-এর প্রোমোটার কপিল ওয়াধওয়ানের অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তারা। আরকেডব্লিউ ডেভেলপার্সকেও ওই সময় একটি প্রকল্পে ইয়েস ব্যাঙ্ক ৭৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, যে প্রকল্পের জন্য ওই ঋণ দেওয়া হয়েছিল তাতে ওই অর্থ খরচ করা হয়নি। তা পাঠানো হয় ডিএইচএফএলের অ্যাকাউন্টে।