প্রতীকী ছবি।
কিছুটা আশা জাগিয়ে গত বছরের চেয়ে এ বার অগস্টে দেশের পাইকারি বাজারে (ডিলারদের কাছে সংস্থার) যাত্রী গাড়ি বিক্রি বাড়ল মারুতি ও হুন্ডাইয়ের। বিক্রি বেড়েছে মহীন্দ্রারও। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এই ধারা বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় থাকছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের মতে, গত বছরের কম ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে অগস্টে গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির ছবি ভাল ঠিকই। কিন্তু উৎসবের মরসুমের পরেও তা না-বাড়লে এই শিল্পের গতি ফিরছে, সেটা নিশ্চিত বলা যাবে না।
হিসেব বলছে, গত মাসে দেশে মারুতির পাইকারি বিক্রি ২০১৯ সালের থেকে বেড়েছে ২০.২%। আর হুন্ডাইয়ের ১৯.৯%। মহীন্দ্রার যাত্রী গাড়ির ক্ষেত্রে তা মাত্র ১% হলেও, ভাল রকম বেড়েছে ট্রাক্টরের বিক্রি। তবে বিক্রি কমেছে অশোক লেল্যান্ড, হোন্ডা কারস, টয়োটা কির্লোস্কর, ভিই কমার্শিয়ালের মতো সংস্থার।
শিল্পের মতে, করোনা আবহে চাহিদা বাড়ছে ছোট গাড়ির। যার সুবিধা পেয়েছে মারুতি। তাদের অল্টো, ওয়াগন-আরের মতো ছোট তুলনায় কমদামি গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধির হার প্রায় ৯৫%। তা বেড়েছে সুইফ্ট, ডিজ়ায়ার ইত্যাদির। একই ছবি দেখা গিয়েছে হুন্ডাইয়ের টাকসন, ক্রেটা, ভের্নার ক্ষেত্রে। তবে হিরোমোটো কর্পের দু’চাকার গাড়ির বিক্রি বাড়লেও, কমেছে রয়্যাল এনফিল্ড, টিভিএসের।
এই অবস্থায় উৎসবের মরসুমে কিছুটা চাকা ঘোরার আশা করছে শিল্প মহল। তবে একাংশের মতে, সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতিতে নজর রেখে চলা ছাড়া উপায় নেই। তার উপরে বিএস-৬ গাড়ির খরচও বেশি। ফলে উৎসবের মরসুমের পরে বিক্রি বাড়ে কি না, সেটাই দেখার।