প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমের বাড়তি চাহিদায় অক্টোবরে গাড়ি সংস্থাগুলির বিক্রি বেড়েছিল। যা অব্যাহত থাকল নভেম্বরেও। একে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর জোরালো ইঙ্গিত বলেই ব্যাখ্যা সরকারি মহলের। যদিও বিক্রি বৃদ্ধি নিয়ে এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারছে না সংশ্লিষ্ট শিল্প। অনেকেই মনে করাচ্ছেন, গত বছরের নভেম্বরে প্রায় সব সংস্থারই বিক্রি কমেছিল। অনেকের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো। ফলে এটা হতে পারে যে, উৎসবের মরসুমে বাড়তি চাহিদার পাশাপাশি গত বছরের নিচু ভিতের জন্যও এ বারের বিক্রির অঙ্ক কিছুটা বেশি দেখাচ্ছে।
মঙ্গলবার গাড়ি সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, কমবেশি বিক্রি বেড়েছে বেশিরভাগ সংস্থারই। যেমন, মারুতি সুজ়ুকির বিক্রি এক বছর আগের চেয়ে ১.৭% বেড়েছে। টাটা মোটরসের বেড়েছে ২১%। হুন্ডাইয়ের বিক্রি সামগ্রিক ভাবে ২% কমলেও দেশে তারাও বিক্রি বাড়াতে পেরেছে ৯.৪%। ২১% বিক্রি বাড়িয়েছে টিভিএস মোটরস। পাশাপাশি, করোনায় দেশের অর্থনীতি টোল খেলেও কৃষি ক্ষেত্রের বৃদ্ধি অব্যাহত। তার ফলে কৃষি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা এসকর্ট তাদের ট্র্যাক্টরের বিক্রি প্রায় ৩৩% বাড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, উৎসবের মরসুমে গাড়ির চাহিদা এমনিতেই বাড়ে। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি। তার উপর গত বছর অক্টোবরেই দুর্গাপুজো এবং দেওয়ালি পড়েছিল। কিন্তু এ বার দেওয়ালি ছিল নভেম্বরে। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ উৎসবের বাজারের সুবিধা কিছুটা হলেও কাজে লাগাতে পেরেছে গাড়ি সংস্থাগুলি। তাদের বক্তব্য, চাহিদা বৃদ্ধি সব সময়েই বাজারের পক্ষে ইতিবাচক। বিশেষত বিক্রিবাটা অতিমারির আগের জায়গায় পৌঁছনো তো ভাল খবর। সে যখনই হোক না কেন। তবে গত বারের নিচু ভিতের উপর দাঁড়িয়ে এ বছরের গাড়ি বিক্রিকে বেশি মনে হওয়াই স্বাভাবিক। তা ছাড়া অর্থনীতির চাকা ঘুরলে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি বাড়তে দেখা যায়। কিন্তু টাটা মোটরস, বজাজের এই গাড়ি বিক্রি কমেছে। ফলে অর্থনীতি নিয়ে ভয় থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস জানিয়েছে, উৎসবের মরসুম শেষ হলে বিক্রি কোথায় দাঁড়ায় সে দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ, ডিলারদের হাতে এখন প্রচুর গাড়ি রয়েছে। দু’তিন মাসে তারা সংস্থাগুলির থেকে কেনা কমাতে পারে। বস্তুত, গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম ক’দিন আগেই বলেছে, ২০১৮ সালের বিক্রিতে পৌঁছতে গেলে তিন-চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।