প্রতীকী ছবি
লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে গাড়ির শো-রুমগুলি প্রথমবার জুনেই পুরো মাস খোলা ছিল। কিন্তু তাতেও দেশের গাড়ি বাজারের হাল তিমিরেই। গত বছরের জুনের চেয়ে এ বারের বিক্রি বৃদ্ধির হার এখনও উল্লেখযোগ্য ভাবে ঋণাত্মকই রয়েছে। মে মাসের তুলনায় বিভিন্ন গাড়ি সংস্থার বিক্রি জুনে কিছুটা বাড়লেও, তা যে তেমন উল্লেখযোগ্য নয়, তা স্পষ্ট সংশ্লিষ্ট মহলে। কারণ যেটুকু বেড়েছে, তা একেবারে নগণ্য। উপরন্তু, এপ্রিল-মে মাসে লকডাউনের জন্য শোরুম বন্ধ থাকায় তখনকার চাহিদাই একটা অংশ এখন বাজারে প্রতিফলিত হচ্ছে বলে তাদের মত।
প্রচলিত রীতি মেনে গত বছরের জুনের সঙ্গে এ বারের জুনের বিক্রির হিসেবে দেশের বৃহত্তম সংস্থা মারুতি-সুজুকির বিক্রি কমেছে ৫৩%। তবে মে মাসে তারা প্রায় ১৪ হাজার গাড়ি বিক্রি করলেও জুনে করেছে প্রায় ৫৩ হাজারটি। সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব গাড়ি কেনার খোঁজ খবর, বুকিং ও কেনার বৃদ্ধির কথা বললেও একই সঙ্গে জানিয়েছেন, এটি মূলত ‘পেন্ট-আপ’ চাহিদারই প্রতিফলন। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অর্থাৎ, এপ্রিল-মে মাসে শোরুম বন্ধ থাকায় যে চাহিদা আটকে ছিল, সেটিই এখন দেখা যাচ্ছে। নতুন চাহিদা এখনও তেমন নেই। তবে শশাঙ্ক জানান, বিক্রি কিছুটা বাড়ায় তাঁরাও উৎপাদন বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
ওই হিসেবে হুন্ডাইয়ের বিক্রি জুনে কমেছে প্রায় অর্ধেক। হোন্ডার ৮৬.৪%। ৬৩.৫৩% বিক্রি কমেছে টয়োটা কির্লোস্কার মোটরের। মহীন্দ্রার বিক্রি ৫৩% কমলেও সংস্থাটির সিইও (অটোমোটিভ) বিজয় নাকরার দাবি, যাত্রিবাহী ও ছোট বাণিজ্যিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: চিনা পণ্য বয়কটের কথায় শঙ্কা বন্দরে