ফাইল চিত্র।
অতিমারির আবহে সুদের হার তলানি ছোঁয়ার পরে আবাসনের পাশাপাশি তার কিছুটা সুবিধা পেয়েছিল গাড়ি শিল্প। বিক্রিবাটা শ্লথ হলেও, ক্রেতাদের একাংশ কম সুদের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ বাড়ানোর পরে তাই গাড়ি সংস্থাগুলির নতুন চিন্তা, ঋণের খরচ বাড়লে সঙ্কট বাড়বে না তো? কারণ বুধবার সিয়ামের তথ্য বলছে, এপ্রিলেও পাইকারি
(সংস্থাগুলি ডিলারদের যে গাড়ি বিক্রি করে) গাড়ি বিক্রি বহু বছর পিছিয়ে। সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম বলেছে, চাহিদায় কী প্রভাব পড়ে আপাতত সেই দিকেই নজর রাখছে শিল্প।
বাড়ি, গাড়ির ঋণে ইতিমধ্যেই সুদ বাড়াতে শুরু করেছে ব্যাঙ্কগুলি। মূল্যবৃদ্ধি মাথা না নামালে আরও বাড়তে পারে। এর জেরে অনেকে গাড়ি কেনার ভাবনা পিছোবেন কি না এবং সে ক্ষেত্রে ব্যবসা আরও কতটা ধাক্কা খাবে, তা নিয়ে এখন চর্চা চলছে গাড়ি শিল্পের অন্দরে। সিয়ামের ডিজি রাজেশ মেননের দাবি, যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি এখনও ২০১৭ সালের থেকে কম। দু’চাকা ২০১২-কেই ছুঁতে পারেনি। ২০১৬-এর এপ্রিলে যতগুলি তিন চাকা বিক্রি হয়েছিল, গত মাসে তার অর্ধেকেরও কম হয়েছে। সংস্থাগুলি যন্ত্রাংশ জোগানের ঘাটতি সামলাতে কঠিন পরিশ্রম করছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, জিনিসের চড়া দামে এমনিতেই খুব জরুরি না হলে কেনাকাটা করছেন না সাধারণ মানুষ। কারণ তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। সে ক্ষেত্রে গাড়ির মতো অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্যের বাজেটেই সব থেকে আগে কোপ পড়ার আশঙ্কা।