—প্রতীকী চিত্র।
ইজ়রায়েল এবং ইরানের দ্বন্দ্বের উত্তাপ বাড়ছে। তার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে অশোধিত তেলের দাম। এরই মধ্যে আশা জোগাচ্ছে চিনের অর্থনীতি— এই তিনের প্রভাবে অক্টোবরের প্রথম তিনটি লেনদেনের দিনে ভারত থেকে বিদায় নিল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ২৭,১৪২ কোটি টাকার পুঁজি। তার আগে সেপ্টেম্বরে নিট ৫৭,৭২৪ কোটি ঢেলেছিল তারা। বছরের প্রথম ন’মাসে পার করেছিল ১ লক্ষ কোটি।
ব্যতিক্রম ছিল শুধু এপ্রিল এবং মে। তা ছাড়া এ বছরের বাকি সমস্ত মাসে এ দেশের শেয়ার বাজারে ঝুলি উপুড় করে পুঁজি ঢেলেছে বিদেশি লগ্নিকারীরা। হঠাৎই কেন তাদের এই পথ বদল? মর্নিংস্টার ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চের গবেষণা শাখার অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিমাংশু শ্রীবাস্তব বলছেন, ‘‘ইজ়রায়েল এবং ইরানকে কেন্দ্র করে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। হঠাৎ প্রবল ভাবে বেড়েছে অশোধিত তেলের দাম। চিনের বাজারও ইতিবাচক পারফরম্যান্স করছে। ভারত থেকে বিদেশি পুঁজি সরার মূল কারণ এগুলিই।’’ তাঁর মতে, আগামী দিনে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার পাশাপাশি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির দিকে চোখ রাখবে লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, অর্থনীতির গতি বাড়াতে উৎসাহ প্রকল্প চালু করবে চিন। সেই ঘোষণায় গত এক মাসে হ্যাংসেংয়ের সূচক ২৬% বেড়েছে। সে দেশে শেয়ারের মূল্যায়ন ভারতের চেয়ে কম। জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের মুখ্য বিনিয়োগ কৌশল নির্ধারণকারী ভি কে বিজয়কুমার বলছেন, ‘‘ভারতের বাজারে বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রির মূল কারণ চিনের প্রতি আগ্রহ। সে দেশেই যাচ্ছে তাদের পুঁজি।’’