প্রতীকী ছবি।
ঠিকা কর্মীদের একাংশের আন্দোলনের জেরে ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের বক্তব্য, মেরামত করা যাচ্ছে না খারাপ হয়ে পড়ে থাকা ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড। অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যের হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্য সচিব রাজীব সিংহকে চিঠি দিয়েছিলেন বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার। কিন্তু জট না-কাটায় এ বার টেলিকম দফতরের (ডট) অতিরিক্ত সচিব অনীতা প্রবীণ চিঠি দিলেন তাঁকে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমাধান সূত্র মেলেনি। বরং বেড়েছে লাইন খারাপ থাকার অভিযোগ।
ক্যাল-টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরনো ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা নতুন ঠিকাদার নিয়োগের ব্যাপারে আপত্তি তুলে কাজ বন্ধ রেখেছেন। কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে স্থায়ী কর্মী-অফিসারদের। ঠিকা কর্মীদের পাল্টা দাবি, তাঁদের এক বছরেরও বেশি বেতন বকেয়া রেখেছে বিএসএনএল। নতুন ব্যবস্থায় কাজ হারাবেন অনেকে।
বিএসএনএলের সিএমডির চিঠি উল্লেখ করে ডট-কর্তার দাবি, এই গোলমালে সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন দফতর, হাসপাতাল, আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিষেবা দিতে পারছে না ক্যাল-টেল। উত্তর কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলির বিভিন্ন এক্সচেঞ্জে ঠিকা কর্মীরা হিংসাত্মক আন্দোলন করছেন। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এই অবস্থায় কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে মুখ্য সচিবকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
অকেজো কত
• ল্যান্ডলাইন: ৪৫,০০০
• ব্রডব্যান্ড: ৭৩০০
ছাড়ের আর্জি জানাতে
• সংস্থার কাছে অভিযোগ দায়ের।
এ দিকে, ফোন বা ব্রডব্যান্ড মেরামত না হলেও বিল পেয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, পরিষেবা দিতে না-পারলেও কী ভাবে বিল দিতে বলছে সংস্থা? বিএসএনএলের বক্তব্য, ফোন খারাপ থাকলেও বিল বন্ধ রাখার কোনও প্রযুক্তি নেই। তবে অভিযোগ দায়ের করে সমস্যার কথা জানালে বিলে ছাড় দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল।