জিএসটি-র অধীনে কম্পোজ়িশন প্রকল্পে কর ফাঁকি রুখতে আগ্রহী কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারাল (সিএজি)। যে কারণে ঝুঁকিপূর্ণ করদাতাদের খুঁজে বার করার জন্য অর্থ মন্ত্রককে ব্যবস্থা নিতে বলেছে তারা। লক্ষ্য, নির্দিষ্ট সময় অন্তর যোগ্যতাহীন করদাতাদের চিহ্নিত করা ও তাঁদের প্রকল্পের বাইরে আনা এবং পরোক্ষ কর ফাঁকি আটকানো।
২০১৯-২০ সাল থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে থাকা ৮.৬৬ লক্ষ করদাতার তথ্য বিশ্লেষণ করেছিল সিএজি। খতিয়ে দেখা হয় জিএসটি রিটার্ন, অর্থাৎ জিএসটিআর-৪এ এবং জিএসটিআর-৭। পাশাপাশি, আয়কর রিটার্ন, ‘বাহন’ পোর্টালের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এর ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্ট বলছে, ওই করদাতাদের বড় অংশের মধ্যে সরবরাহ করা পণ্যের অঙ্ক কমিয়ে দেখানোর ঝুঁকি থাকছে। আবার যোগ্যতা না থাকলেও, প্রকল্পে
থেকে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সে জন্য সময়ে রিটার্ন জমা না দেওয়া, কর বাকি রাখা হচ্ছে। এই দুই বিষয়ে মন্ত্রককে নজর দিতে বলেছে সিএজি।
জিএসটি-তে বছরে ব্যবসা ১.৫ কোটি টাকার মধ্যে হলে কম্পোজ়িশন প্রকল্পের সুবিধা মেলে। কিছু ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় ব্যবসা ৭৫ লক্ষের মধ্যে হলেও। এই সব ব্যবসায়ী রিটার্ন জমা-সহ নানা ক্ষেত্রে ছাড় পান।