প্রায় বছর দেড়েক হবে। কিংবা তার একটু বেশিই। নিজের জন্য একটা ফ্ল্যাট খুঁজছে সমর! কিন্তু হচ্ছেই না! কোনওটা পছন্দ হয় তো, দামে পোষায় না, কোনওটার লোকেশন আবার খুবই খারাপ। দিন যত বাড়ছে তত কেমন যেন ফ্রাস্টু খাচ্ছে সমর।
"কবে যে হবে ফ্ল্যাটটা! দিন যেন চলেই যাচ্ছে!"
হোম লোন থেকে ট্যাক্স সেভিংসের সমস্ত মারপ্যাঁচ তার জানা। আর সে ভাবেই সমস্ত বিষয়টা গুছিয়ে রেখেছে সমর। অপেক্ষা শুধু একটা ভাল খোঁজের। সমস্ত সুযোগ-সুবিধে রয়েছে,ভাল লোকেশন আবার দামও সাধ্যের মধ্যে - মনের মতো এমন কোনও ফ্ল্যাট কী পাওয়া যাবে না?
এসব ভাবতে ভাবতেই অমলের ফোন আসে। অমল শুধুমাত্র সমরের কলেজ লাইফের বন্ধুই নয়, এখন অফিস কলিগও বটে! বিগত দেড় দশক ওরা বন্ধু। অনেক খোঁজাখুজির পরে সদ্য একটা ফ্ল্যাট কিনেছে অমল। আর তা জানাতেই ফোন!
- কোথায় রে? খবর কী
- এই তো ভাই, ঘরেই আছি!
- শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাটটা বুক করেই নিলাম!
- কী বলছিস!
- হ্যাঁ রে! একটা টোকেন মানিও দিয়ে এলাম।
- তা কোথায়? কী বৃত্তান্ত? খরচাপাতি কেমন? কিছুই তো জানালি না!
- আরে সে কথা জানাতেই তো ফোনটা করলাম আমি!
- বল তাহলে শুনি!
অতঃপর ফোনেই ফ্ল্যাট কেনার গল্প শুরু করে অমল। যতই হোক, স্বপ্নের বাড়ি তো! তাই কথার সঙ্গে স্বপ্নের রং মিশিয়েই শুরু হল গল্প।
- শেষ যেদিন তোর সাথে অফিসে দেখা হল, তুই বললি মনের মতো ফ্ল্যাট পাচ্ছিস না, কিন্তু অনেক দিন ধরেই খোঁজাখুঁজি করছিস। সেদিন থেকে আমিও খোঁজ লাগালাম! পাড়ার লোকাল প্রোমোটার থেকে এজেন্ট অনেককেই বলে রেখেছিলাম। পাঁচ-ছয়টা ফ্ল্যাট দেখেওছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস কর, ঠিক মনের মতো পাচ্ছিলাম না। আর তার সঙ্গে তোর চাহিদাগুলোও মাথায় ছিল। ফ্ল্যাট দেখার সময়ে বুঝতে পারলাম, এই চাহিদাগুলো আসলে তোর একার নয়, আমাদের মতো মধ্যবিত্ত যারা স্বপ্নের হাতছানিকে পকেটস্থ করতে চায়, তারা এই চাহিদাগুলো নিয়ে ভাববেই। এটা প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত লাস্ট উইকে নেটে একটা অ্যাড দেখলাম - উইন্ডমেয়ার। মধ্যমগ্রামে! বিশ্বাস কর, একটা ভিজিট করার পরে এতটাই ভাল লেগে গেল যে বাড়ি এসেই বুক করে নিলাম! কী দূর্দান্ত লোকেশন, লাক্সারি অ্যামেনিটিস, কী দারুন আউটডোর এক্সপেরিয়েন্স - কোনও কথা হবে না!
অমলের কথা শুনে বুকে যেন বল পেল সমর! কারণ অমল তার ছোটবেলার বন্ধু। সমরের পসন্দ-না পসন্দ, সমস্তটাই জানে অমল। লকডাউনের পরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হওয়ার পরেই আগে অমলের কথা মেনেই নিজের ঘরের ওয়ার্কিং স্পেসটা সাজিয়েছিল সমর। সে যাই হোক না কেন, ফোনের মধ্যেই আরও একটু এক্সাইটেড হয়ে সমর বলে উঠল -
- তার পর! কী কী দেখলি ভাই? একটু ডিটেলস-এ বল দেখি।
ফোনের ও প্রান্ত থেকে ফের বলা শুরু করল অমল।
- ফার্স্ট অফ অল লোকালিটি! লোকেশন নিয়ে কোনো কথা হবে না! মধ্যমগ্রামের মতো জায়গা। এই মুহূর্তে কলকাতার মোস্ট প্রমিসিং এলাকা। এমনিতে তো সারাদিন জমজমাট থাকেই। এয়ারপোর্ট তো খুবই কাছে। পাশেই স্টেশন। হাতের নাগালে বাজার, মাল্টিপ্লেক্স, সিনেমা হল, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ সব রয়েছে। আর সব থেকে বড় কথা মেট্রো হচ্ছে! আর কী চাই!
- লোকেশন তো বেশ ভালই তা হলে! কিন্তু অ্যামেনিটিস!
- এক কথায় দূর্দান্ত! অ্যামেনিটিস নিয়ে কোনো কথা হবে না! প্রত্যেকটা ফ্ল্যাটে ভাল ভাবে হাওয়া-বাতাস খেলতে পারবে! মডার্ন এজ-এর কথা ভেবেই ফ্ল্যাটগুলো বানানো হয়েছে। সাধ্যের মধ্যে অথচ লাক্সারি ভাবে জীবনটাকে উপভোগ করা যাবে ভাই। ক্লাব হাউজ, সুইমিং পুল, এসি জিম, স্টিম বাথ, দু'টো এসি কমিউনিটি হল, লিলি ফুল দিয়ে সাজানো একটা সুন্দর ওয়াটার বডি, সেন্ট্রাল লন, ইন্ডোর গেমস রুম, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, ওপেন এরিয়া থিয়েটার, ওয়াকিং ট্র্যাক, মাল্টিপারপাস গ্রাস কোর্ট, বয়স্কদের আড্ডা মারার জায়গা - কি নেই এখানে? প্রতিটা জিনিস এত সুন্দর ভাবে সাজানো যে, যে কোনও মানুষই প্রত্যেক মুহূর্তে অন্যরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে।
- তাই নাকী!
সব মিলিয়ে খোলা-মেলা পরিবেশ নিয়ে কোনো কথা হবে না।
- আর কোয়ালিটি কেমন?
কোয়ালিটি নিয়েও কোনো কথা হবে না। প্রোজেক্টটা জয়েন্ট ভেনচারে করছে সিগনাম এবং ইউনিমার্ক গ্রুপ। দু’টোই কলকাতার অন্যতম নামী গ্রুপ। নেট ঘেঁটে নিজে একটু হিস্ট্রি-জিওগ্রাফিটা চেক করে নিস। আশা করি তার পরে কোনও প্রশ্ন করবি না। এমনিতেও কনস্ট্রাকশন চলছে জোর কদমে। প্রত্যেকটা ফ্ল্যাট অন টাইম হ্যান্ড-ওভার করা হবে।
এত ক্ষণে ফাস্ট্রেশনটা কেটে গিয়েছে সমরের। কিন্তু তবুও মনটা উশখুশ করছে। এত ভাল জায়গা, এত ভাল অ্যামেনিটিস! তা হলে কী দামটাও...
এসব ভাবতে ভাবতেই অমলের কাছে প্রশ্ন করে বসে সমর
- আচ্ছা সবই তো বুঝলাম! কিন্তু দামটা?
একটু হেসে নিয়েই অমল শুরু করে
- এত সব দেখে আমিও প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কী না কী দাম চেয়ে বসবে। তবে যা জানলাম, তা শুনে অবাকই হয়ে গেছি।
- কেন?
- উইন্ডমেয়ারের ফ্ল্যাট শুরু মাত্র ২৮ লক্ষ* টাকা থেকে। আমাদের মতো মধ্যবিত্তের একদম সাধ্যের মধ্যে।
অজান্তেই সমরের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে
- দূর্দান্ত! কোনও কথা হবে না। এই অফার ছাড়া যাবে না কোনওভাবেই। আমি দু’-এক দিনের মধ্যেই ফ্ল্যাটটা বুক করে আসব।
অমলও মন ভাল করা হাসি হেসে ফোনটা রেখে দেয়।
এই গল্পটা আসলে অমল বা সমরের একার নয়। আমাদের সকলেরই। মধ্যবিত্তের বরাবরের স্বপ্ন থাকে নিজের একটা ফ্ল্যাট কেনার। কিন্তু হাজার চাহিদার ভিড়ে বেশিরভাগ সময়েই মনের মতো ফ্ল্যাট কেনা হয়ে ওঠে না। কম্প্রোমাইজ করতে হয়। আর সেই চাহিদার ভিড়েই এক-আধ বার উইন্ডমেয়ারের মতো প্রোজেক্ট হাতের নাগালে আসে। আর সেই সুযোগ হাতছাড়া না করাই শ্রেয়।
প্রোজেক্ট সম্পর্কে বিশদে জানতে ক্লিক করুন - http://www.windmere.in/
এবং — http://www.signumgroup.in/windmere-madhyamgram-residential - এই লিঙ্কে।
*শর্তাবলী প্রযোজ্য